নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশে এখনও কভিড-১৯-এর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রাধান্য বেশি, তবে একটু একটু করে সে জায়গাটা ওমিক্রন দখল করে নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘দেশে ডেল্টা এখনও প্রিডমিনেন্ট ভ্যারিয়েন্ট, কিন্তু একটু একটু করে ওমিক্রন সে জায়গা দখল করে নিচ্ছে।’ গতকাল ভার্চুয়াল বুলেটিনে তিনি এ তথ্য জানান।
ওমিক্রনের লক্ষণ ও উপসর্গের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওমিক্রনে সংক্রমিতদের শতকরা ৭৩ শতাংশ মানুষ সর্দিতে আক্রান্ত, মাথাব্যথা করছে ৬৮ শতাংশের, অবষন্নতা বা ক্লান্তি অনুভব করছেন ৬৪ শতাংশ, হাঁচি দিচ্ছেন ৬০ শতাংশ, গলাব্যথা রয়েছে ৬০ শতাংশের এবং কাশি দিচ্ছেন ৪৪ শতাংশ রোগীÑএ বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। এর সঙ্গে মৌসুমি জ্বরের মিল রয়েছে। তাই যেকোনো পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।’
ওমিক্রনে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়াও বাড়ছে বলে জানিয়ে অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘রোগীর সংখ্যা যদি প্রতিদিন বাড়তে থাকে, আর স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে নিজের মতো করে চলতে থাকলে যদি রোগীর সংখ্যা আরও বাড়ে, তাহলে সেটা সামগ্রিকভাবে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বাড়তি চাপ ফেলবে।’
সরকার এরই মধ্যে বইমেলার বিষয়ে মতামত দিয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বইমেলার সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট, আমরা অনুরোধ করব, মেলা শুরু হওয়ার আগেই তারা যেন টিকা নেয়ার কাজ শেষ করেন। বইমেলায় যারা যাবেন, ষাটোর্ধ্ব যারা আছেন, ফ্রন্টলাইনার যারা রয়েছেন, তাদের বুস্টার ডোজ নিতে হবে।’
অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘অবশ্যই বইমেলায় থাকা অবস্থায় নাক-মুখ ঢেকে ঠিক নিয়মে মাস্ক পরতে হবে এবং কোনো অবস্থাতেই মাস্ক খুলে বইমেলায় থাকা যাবে না।’