শেয়ার বিজ ডেস্ক: সরকারের ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়নে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (এডিবি) পাশে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশন-১) শিজিন চ্যান গতকাল সোমবার গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে তার প্রত্যাশার কথা বলেন। খবর: বিডি নিউজ।
সরকারপ্রধানের প্রেস সচিব ইহসানুল করিম পরে সাংবাদিকদের বলেন, এ ডেল্টা প্ল্যান বাংলাদেশের জন্য ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ জানিয়ে তা বাস্তবায়নে এডিবির সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আঞ্চলিক সহযোগিতার মধ্যে কানেকটিভিটি, বাণিজ্য সুবিধা এবং জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতেও এডিবির ভ‚মিকা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক যোগাযোগে জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কানেকটিভিটির উন্নয়নে বাংলাদেশের দরজা উš§ুক্ত। এ প্রসঙ্গে ১৯৬৫ সালে যুদ্ধের পর বন্ধ হওয়া কয়েকটি রুট পুনরায় চালু করার কথা তিনি বলেন। এছাড়া আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষায় এডিবির শীর্ষ পর্যায়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশিরা আরও গুরুত্ব পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের কভিড পরিস্থিতি এখন ‘নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দুই বছর পর দেশের মানুষ মুক্তভাবে ঈদ উদযাপন করেছে। কভিড মহামারিতে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য এডিবির প্রশংসাও করেন শেখ হাসিনা। আর মাহামারির ক্রান্তিকালে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা আসে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে।
শিজিন চ্যান বলেন, বাংলাদেশ অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে। কভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ‘উদাহরণ’ সৃষ্টি করেছে। এডিবি সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং গ্রাম ও নগর উন্নয়নে সহযোগিতা করবে।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণ প্রসঙ্গে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, এ সময়টা সাধারণত ক্রিটিক্যাল হয়। বাংলাদেশ ভালো করছে।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এ উত্তরণকালের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা এবং আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভ‚মিহীন ও গৃহহীনদের জমিসহ ঘর দেয়ার কথাও তিনি তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এসব উদ্যোগের ফলে মানুষের জীবনমানের উন্নতি হয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তি খাতেও বাংলাদেশ উন্নতি করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে খাদ্য সংকটের আশঙ্কার কথা বৈঠকে তুলে ধরেন এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট। শেখ হাসিনা তখন বলেন, তার সরকার আরও বেশি খাদ্য উৎপাদনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নতি করেছে। বাংলাদেশ ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার যে কাজে হাত দিয়েছে, তা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা পূরণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন শিজিন চ্যান।
অন্যদের মধ্যে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, এডিবির ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল (সাউথ এশিয়ান ডিপার্টমেন্ট) মনমোহন পরকাশ এবং বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং এ সময় উপস্থিত ছিলেন।