নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের গৃহঋণ প্রদানকারী অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ‘ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেড’ তাদের নাম পরিবর্তন করে ‘ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি’ করা হয়েছে। গতকাল কোম্পানিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত এপ্রিল মাসে শেয়ারহোল্ডাররা বিশেষ এক সভায় কোম্পানির নিবন্ধিত নাম ‘ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন লিমিটেড’ পরিবর্তন করে ‘ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি’ করার প্রস্তাবটিতে সম্মতি প্রদান করেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বিষয়টির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী নাসিমুল বাতেন বলেন, ‘ডিবিএইচের ব্র্যান্ড ইকুইটির কারণে নতুন এই নাম গ্রাহকদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচিতি আরও সুনির্দিষ্ট করবে এবং প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার সঙ্গে তা আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ২৫ বছর ডিবিএইচ দেশের আবাসন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, গাজীপুর, নারায়াণগঞ্জ, খুলনা ও রাজশাহীতে কোম্পানির শাখা আছে এবং এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ১৩,৫০০ কোটি টাকার অধিক গৃহঋণ বিতরণ করেছে। ডিবিএইচ দেশের একমাত্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে টানা ১৭ বছর সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং ‘ট্রিপল এ’ অর্জন করেছে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৮৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৮৭ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা (ঘাটতি)।
কোম্পানিটি ২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৯৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫২৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৯ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার ৩৬৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫১ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ১৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১১ দশমিক ০৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৫১ শতাংশ বা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৫৯ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে এক লাখ ৩৫ হাজার ২৭৩টি শেয়ার মোট ২৮০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৮০ লাখ টাকা। এক বছরে শেয়ারদর সর্বনিন্ম ৫৭ টাকা থেকে ৮৮ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়।