Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 9:24 pm

ড্যাশ ডায়েট: উচ্চ রক্তচাপের রোগীর খাবার

গতকালের পর

কী কী খাবেন না: কলিজা, মগজ, হাড়ের মজ্জা। এই অংশগুলোয় বেশি পরিমাণ কোলেস্টেরল থাকে। ক্যালরি এবং ফ্যাট কম থাকলেও চিংড়িতে আছে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল। সাড়ে তিন আউন্স চিংড়িতে আছে ১৮৯ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। মাছের মাথা, ডিম। রক্তের লিপিড প্রোফাইল বাড়িয়ে দেয় যেসব উপাদান, সেই এলডিএল বা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের উৎস হচ্ছে মাছের মাথা বা মাছের ডিম। নিয়মিত যারা সপ্তাহে একবার ফাস্টফুড খান, তাদের ক্ষেত্রে হƒদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। যারা একের বেশি অর্থাৎ দুই-তিনবার খান, তাদের হার আরও বেশি, ৫০ শতাংশ। ঘি ও মাখনে আছে উচ্চমাত্রার স্যাচুরেটেড ফ্যাট। সেই সঙ্গে আছে পামিটিক অ্যাসিড, যা আর্টারি ব্লকের কারণ হতে পারে। বদলে জলপাই তেল, সূর্যমুখী তেল বা মার্জারিন ব্যবহার করা যেতে পারে। খাবারে নারকেল ও পামতেল ব্যবহারের প্রবণতা খারাপ। নারকেল তেলের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশই স্যাচুরেটেড ফ্যাট। খাবার যত ভাজা বা ডিপ ফ্রাই হয়, তত তাতে যুক্ত হতে থাকে ক্ষতিকারক ফ্যাট। ডিপ ফ্রাই করা হলে তেল ট্রান্সফ্যাটে রূপান্তরিত হয়। এসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। রেডমিটে কেবল কোলেস্টেরল বেশি তা নয়, রেডমিট ভেঙে কারনিটাইন নামে একটি যৌগ দেহে তৈরি হয়, যা ট্রিমাথাইলেমাইন এন অক্সাইড নিঃসরণ করে। এটি এথেরোসক্লেরোসিসে ভূমিকা রাখে। কেবল লবণ নয়, চিনিযুক্ত পানীয়ও রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। যকৃতে চর্বি হিসেবে জমা হয়। কেক, পেস্ট্রি, পুডিং, আইসক্রিম প্রভৃতি খাবার চিনিযুক্ত।

প্রাপ্তবয়স্ক উচ্চ রক্তচাপের রোগীর খাদ্যতালিকা সকালের খাবার: হাতে বানানো লাল আটার রুটি ২-৩টি, মিশ্র সবজি ১ কাপ, ডিম সিদ্ধ ১টি, রং চা ১ কাপ।

দিনের মধ্যভাগের স্ন্যাক্স: যে কোনো কম মিষ্টিজাতীয় ফল ১-২টি।

দুপুরের খাবার: ভাত ২ কাপ, সবজি অথবা শাক ১ কাপ, ১ টুকরা বড় মাছ (সপ্তাহে ১ দিন সামুদ্রিক মাছ), ডাল ১ কাপ, সালাদ আধা কাপ।

সন্ধ্যার নাশতা: আগে ভেজানো কাঠবাদাম ৫ পিস।

রাতের খাবার: ভাত ১ কাপ অথবা রুটি ২ পিস, সবজি ১ কাপ, মুরগির বুকের মাংস ১ পিস, ডাল ১ কাপ। ঘুমাতে যাওয়ার আগে টকদই ১ কাপ ও কালোজিরা আধা চা-চামচ। [শেষ]

ইসরাত জাহান

পুষ্টিবিদ