প্রতিনিধি, চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বালি উত্তোলনের জন্য প্রশাসনকে ম্যানেজ করার কথা বলে অবৈধ ড্রেজার চালানোর ‘প্রশাসনিক অনুমতি’ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। কৃষিমাঠে ফসলি জমিতে ড্রেজার চালানোর অনুমতি দেয়ার নামে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বেলঘর গ্রামের ইউপি সদস্য ইউসুফ পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, প্রশাসনের এক ‘কালো মানিক’কে ম্যানেজ করে বিভিন্ন ইউনিয়নে চলছে এ অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্য। টাকা দিলেই কালো মানিককে ম্যানেজ করা যায়Ñএ ধারণাকে কাজে লাগিয়ে প্রশাসনের ‘অনুমতির’ নামে নিজেও ফায়দা নেয়ার ফন্দি আঁটেন ইউপি সদস্য ইউসুফ পাটওয়ারী। এরপর নিজ ওয়ার্ডের বিভিন্ন মাঠের ফসলি জমিতে প্রশাসনের অনুমতি আছে বলে ড্রেজার বসাতে সহযোগিতা করেন ড্রেজার ব্যবসায়ী ও বালি ক্রেতা-বিক্রেতাদের। প্রশাসনকে ম্যানেজ করার নামে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উভয় পক্ষ থেকে হাতিয়ে নেন মোটা অঙ্কের টাকা। এভাবেই চলছে ইউপি মেম্বারের ড্রেজার চালানোর ‘অনুমতি’ বাণিজ্য।
অপরদিকে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা অবৈধ ড্রেজার বন্ধ করতে দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে বেলঘর গ্রামে কয়েকটি ড্রেজার ও ড্রেজারের পাইপ বিনষ্ট করে জরিমানা করে। এর পরও সেই কালো মানিককে ম্যানেজ করে আবার শুরু হয় ইউপি সদস্যের অবৈধ ড্রেজারে বালি উত্তোলনের ‘অনুমতি’ বাণিজ্য। ফলে কৃষিজমি বিনষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জমির মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ইউপি সদস্যের ক্ষমতার প্রভাবে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।
জানা গেছে, এই ইউপি সদস্য বর্তমানে বলিয়া হাই স্কুল রোডে বেলঘর গ্রামে সফিউল্লাহ পাটোয়ারী বাড়ি, হাসান পাটোয়ারি বাড়ির উত্তর পাশে ব্রিজের ওপর দিয়ে ড্রেজারের পাইপ টেনে নিয়ে হাসান পাটোয়ারীর বাড়ির দক্ষিণ পাশে ড্রেজার বসিয়ে বালি উত্তোলনের জন্য ‘প্রশাসনিক অনুমতি’ নিয়েছেন। দুই দিন ধরে অবৈধ ড্রেজার চলছে। স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করার পরও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অবৈধ ড্রেজার বসানোর কথা স্বীকার করেন ইউপি সদস্য ইউসুফ পাটওয়ারী। তিনি বলেন, আমার জেঠাতো ভাইয়ের মাটি উত্তোলনের কাজে একটি ড্রেজার চলমান রয়েছে।