শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরাইলের যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম এমন অত্যাধুনিক ড্রোন উম্মোচন করেছে ইরান। ড্রোনটির নাম ‘মোহাজের-১০’। প্রতিরক্ষা শিল্প দিবস উপলক্ষে গত মঙ্গলবার ড্রোনটি উম্মোচন করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। খবর: আল জাজিরা।
ইরান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ড্রোনটি ইরান থেকে উড়ে গিয়ে ইসরাইলের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম। ড্রোনটি সাত হাজার মিটার উচ্চতায় ২৪ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম। এর সর্বনি¤œ রেঞ্জ দুই হাজার কিলোমিটার।
৪৫০ লিটার জ্বালানি ক্ষমতাসম্পন্ন এই ড্রোন ৩০০ কেজি ওজন বহন করতে পারে। ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ও গোয়েন্দা সরঞ্জাম বহনে সক্ষম এই ড্রোনের গতি ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার। এছাড়া সব ধরনের গোলাবারুদ, বোমা, হ্যান্ড গ্রেনেড প্রভৃতি বহন করারও ক্ষমতা রয়েছে মোহাজের-১০-এর।
১৯৮২ সালে ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় এই ড্রোনের প্রথম সংস্করণ তৈরি করে ইরান। সর্বশেষ সংস্করণ মোহাজের-১০ প্রায় সাত হাজার মিটার ওপর দিয়ে বিরতিহীনভাবে দুই হাজার কিলোমিটার চলতে পারে।
প্রতিরক্ষা শিল্প দিবস উপলক্ষে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনীর লজিস্টিকস বিভাগের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে দেশটির সামরিক বাহিনীর ও ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড করপসের (আইআরজিসি) সিনিয়র কমান্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
রাইসি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, ইরানের সামরিক অগ্রগতি তেহরানকে এই অঞ্চলে এবং সারাবিশ্বে যেভাবে দেখা হয়, তা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন করেছে।
ইরানের এই ড্রোন যুক্তরাষ্ট্রের এমকিউ-৯ রিপারের আদলে বানানো হয়েছে। উšে§াচন অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও দেখানো হয়, তাতে ড্রোনটি অজ্ঞাত একটি বিমানঘাঁটির ওপর দিয়ে উড়ে ভিডিও ধারণ করেছে। বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের বোমা ও রাডার-প্রতিরোধী সরঞ্জাম বহন করতে পারে মোহাজের-১০। সেইসঙ্গে এটি নজরদারিতে সক্ষম।
মোহাজের-১০ নিয়ে ইরানের গণমাধ্যমে একটি পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ড্রোনটিকে ইসরাইলের দিমোনা পারমাণবিক স্থাপনার ওপর মেঘের ভেতর দিয়ে উড়তে দেখা যায়। পোস্টারে ফারসি ও হিব্রু ভাষায় লেখা ছিল, প্রস্তরযুগে ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত হও।