ড. ইউনূসের কোম্পানির দুর্নীতি তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকমের দুর্নীতি তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদককে এ নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের কোম্পানি বেঞ্চ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আদালতের কাছে গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে কর্মচারী-শ্রমিকদের দুটি অভিযোগ ছিলÑ১. কর্মচারী ও শ্রমিকরা কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের ন্যায্য পাওনা পাচ্ছিলেন না। ২. কোম্পানির লভ্যাংশ/ডিভিডেন্ড ড. ইউনূসের কিছু ভুঁইফোড় কোম্পানির অনুকূলে পাঠানো হচ্ছিল, যা অবৈধ এবং অর্থ পাচারের শামিল। এর মধ্যে শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য পেয়েছেন বলে শ্রমিকদের আইনজীবী আদালতে আবেদন করেছিলেন। আবেদনটি ছিল নন-প্রসিকিউশনের। এ নিয়ে ইউনূসের বিরুদ্ধে ঘুষ প্রদানের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ২৬ কোটি টাকা অবৈধভাবে লেনদেনের অভিযোগে বলা হয় ড. ইউনূস এই ঘুষ কেলেঙ্কারির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।

গতকাল বিচারপতি খুরশিদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চ এই বিষয়ে দুদককে তদন্তের নির্দেশনা দেন।

ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে কোম্পানির লভ্যাংশ অন্য কয়েকটি ভুঁইফোড় কোম্পানির অনুকূলে হস্তান্তরের যে অভিযোগ এসেছে, সে বিষয়েও দুদককে তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গ্রামীণ টেলিকমের অর্থ কোথাও পাচার হয়েছে কি না, দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তা তদন্ত করতে বলা হয়। এ নিয়ে প্রয়োজনে দুদক আইনজীবীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে জানান আদালত। এছাড়া ঘুষ দিয়ে শ্রমিকদের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে কি না, তাও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, ‘আমরা শুনেছি, শ্রমিকদের আইনজীবীকে অর্থের বিনিময়ে হাত করে মামলায় তাদের আপস করতে বাধ্য করা হয়েছে।’

হাইকোর্ট বলেন, ‘আদালতকে ব্যবহার করে অনিয়ম যেন না হয়। যদি সবকিছু আইন অনুযায়ী না হয়, তবে বিষয়টি সিরিয়াসলি দেখা হবে। কোর্ট ও আইনজীবীর সততা নিয়ে যেন কোনো প্রশ্ন না ওঠে।’

এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘গ্রামীণ টেলিকমের হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে শ্রমিকদের টাকা দিয়েছে ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম। সেই সঙ্গে গ্রামীণ টেলিকমের মামলা জিততে লবিস্ট নিয়োগ করেছিলেন ড. ইউনূস।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০