নিজস্ব প্রতিবেদক : গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালত আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত অভিযোগ গঠন করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বে ৩ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এই আদেশ দেয়। সেই সঙ্গে কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরকে বলেন মামলা যেনো না শুরু হয়।
এর আগে, ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট শ্রম আদালতের মামলা বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে খারিজ হয়ে যায়। এর ফলে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনের মামলা চলবে বলে জানানো হয়।
ওই সময় আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
এর আগে, ২০২২ সালের ১৭ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা শ্রম আদালতে চলতে বাধা নেই। এই সংক্রান্ত রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল খারিজ করে এ রায় দেন।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পরে গত ১৩ জুন শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম নিম্ন আদালতে দুই মাস স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা কেন বাতিল হবে না, এই মর্মে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়া হয়। কয়েকদিন শুনানি শেষে আজ হাইকোর্ট রুলটি খারিজ করে দেন।
শ্রম অধিদফতরের কল কারাখানা বিভাগের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, রুলটি খারিজের ফলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে করা মামলা চলতে বাধা নেই।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের নামে মামলা করেন। ড. ইউনূস ছাড়াও এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
পরে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করার পাশাপাশি রুল জারি করেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৩ জুন মামলা বাতিলে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়।