নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলমের দায়িত্বের মেয়াদ বাড়ল আরও তিন বছর। ৯ বছর ধরে একই দায়িত্ব পালন করে আসছেন সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা দলিল প্রণয়নে নেতৃত্বদানকারী এ অর্থনীতিবিদ। গতকাল বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে আগামী ২০২১ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত তার চাকরির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার।
৩৫ বছরের অধ্যাপনা শেষে ড. শামসুল আলম ২০০৯ সালের ১ জুলাই পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগ দেন। ড. আলমের কর্মজীবন চলতি বছরে ৪৪ বছর অতিক্রান্ত হচ্ছে। ২০১৬ সালে তিনি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরোত্তর ছুটিতে যান। তার আগে ২০১৪ সালে রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় ক্যাডার সার্ভিসের বাইরে প্রথমবারের মতো সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা অর্জন করেন।
এরই মধ্যে ড. শামসুল আলমের হাত ধরে তৈরি হয়েছে অনেকগুলো উন্নয়ন পরিকল্পনা। এগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ‘রূপকল্প ২০২১’-এর আলোকে প্রণীত বাংলাদেশের প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পন (২০১০-২০২১), ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১১-২০১৫) এবং পরবর্তীকালে তার নেতৃত্বে প্রণীত সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এখন বাস্তবায়নাধীন। এছাড়া প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন কৌশলপত্র (২০১১-২০২১) ও সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্র (২০১৫-২০২৫) প্রণীত হয়েছে। বর্তমানে ১০০ বছরের বদ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শেষের পথে। এগুলোর বাইরে তার দায়িত্ব পালনকালে এমডিজি অর্জনবিষয়ক ১৫টি গ্রন্থ এবং তার তত্ত্বাবধান ও সম্পাদনায় ৬৩টি মূল্যায়ন প্রতিবেদন, অধ্যয়ন ও গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
ড. শামসুল আলম চলতি ২০১৮ সালে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিং কর্তৃক বাংলাদেশে এ সময়ে ইকোনমিস্ট অব ইনফ্লুয়েন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির ১৬তম বার্ষিক সম্মেলনে এ বছর তাকে স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষণ সোসাইটি তাকে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতিপদকে ভূষিত করেছে। তার গবেষণা গ্রন্থ, পাঠ্যপুস্তকসহ অর্থনীতিবিষয়ক প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১২। দেশে ও বিদেশে প্রকাশিত সম্পাদিত গ্রন্থ রয়েছে ১৮টি। দেশে ও বিদেশে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধ ৪৮টি।