নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রথমবারের মতো ঢাকায় বসছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) আঞ্চলিক সম্মেলন, যাতে সরাসরি ও ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন বিভিন্ন দেশের প্রায় ৯০০ প্রতিনিধি। কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক গতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এফএও’র এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৩৬তম এ সম্মেলন আজ শুরু হয়ে ১১ মার্চ পর্যন্ত চলবে।
এ অঞ্চলের ৪৬ দেশের কৃষিমন্ত্রী, কৃষি সচিব ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা সম্মেলনে অংশ নেবেন। এফএওর মহাপরিচালক, ৪৩টি সদস্য রাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও ও নাগরিক সমাজের ৯০০ প্রতিনিধি এরই মধ্যে সম্মেলনে অংশ নিতে নিবন্ধন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সদস্য দেশগুলোর প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের ৪২ জন প্রতিনিধি এবারের সম্মেলনে অংশ নেবেন। ৮ মার্চ সম্মেলন শুরু হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ মার্চের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
প্রথম দুই দিনে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, কৃষি সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সম্মেলনের বিভিন্ন সেশনে অংশ নেবেন। ১০ ও ১১ মার্চ হবে মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠক। ১০ মার্চ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এবার হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে সম্মেলনের মূল অধিবেশন এবং বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। এ ছাড়া ১৭টি স্টলে হবে কান্ট্রি শোকেসিং।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কভিড পরিস্থিতির মধ্যে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে খাদ্য ও কৃষির বর্তমান অবস্থা, এ অঞ্চলে জলবায়ু সহনশীল কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে করণীয়, এগ্রিকালচার ভ্যালু চেইন ডিজিটালাইজেশন ত্বরান্বিতকরণ, ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ গড়ে তুলতে অগ্রাধিকার চিহ্নিতকরণ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সম্মিলিত বিনিয়োগ নিয়ে এবারের সম্মেলনে আলোচনার বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সম্মেলন সফলভাবে আয়োজনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সক্ষমতা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চাই, যাতে ভবিষ্যতে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশে সম্মেলন আয়োজনে আগ্রহী হয়।’
সারের ঘাটতি নেই: এদিকে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে সারের কোনো ঘাটতি নেই। সারের দাম তিনগুণ বেড়ে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর এসেছে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে দেশে সারের কোনো ঘাটতি নেই। কোনো কারণে দাম একটু এদিক সেদিক থাকতে পারে। আমি বলতে পারি আমাদের সারের কোনো ঘাটতি নেই।’