নিজস্ব প্রতিবেদক: এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় আয়োজন দশম জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা শুরু হয়েছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল শুরু হওয়া ‘১০ দিনব্যাপী’ এ মেলা চলবে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেলা উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এ সময় তিনি বলেন, ‘এসএমই উদ্যোক্তাদের আরও বেশি অর্থায়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সবার ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের পরিচালক পর্ষদ সদস্য এনায়েত হোসেন চৌধুরী। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ মেলার আয়োজন করা হয়।
আয়োজকরা জানান, রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিতব্য দেশি পণ্যের এ মেলায় উদ্যোক্তাদের জন্য ৩২৫ প্রতিষ্ঠানের ৩৫১টি স্টলের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া মেলায় আসা দর্শনার্থীদের মাঝে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচিতি ও কর্মসূচি তুলে ধরার লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের একটি সেক্রেটারিয়েট, মিডিয়া সেন্টার, রক্তদান কেন্দ্র, ক্রেতা-বিক্রেতা মিটিং বুথ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠান, যেমনÑবিটাক, বিএসটিআই, বিসিআইসি, বিসিক, বিএসইসি, জেডিপিসি, বিসিএসআইআর, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়া মেলায় প্লাটিনাম স্পন্সর ব্র্যাক ব্যাংক, গোল্ডেন স্পন্সর ব্যাংক এশিয়া, ইস্টার্ন ব্যাংক, আইপিডিসি ফাইন্যান্স ও লংকাবাংলা, সিলভার স্পন্সর, আইডিএলসি ফাইন্যান্স ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং জেনারেল স্পন্সর কৃষি ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের স্টল থাকবে।
‘জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২’ অনুযায়ী উচ্চ অগ্রাধিকার বা অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত কৃষি বা খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি যন্ত্রপাতি, আইসিটি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হালকা প্রকৌশল, পাট ও পাটজাত, প্লাস্টিক, হস্ত ও কারু শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোকে মেলায় অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ দর্শনার্থীদের জন্য উš§ুক্ত থাকবে।
দেশীয় উৎপাদনকারী অথবা সেবামূলক মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারাই মেলায় পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয়ের সুযোগ পাবেন। বিদেশি বা আমদানি করা পণ্যমেলায় প্রদর্শন কিংবা বিক্রয় করা যাবে না।
এবার অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী এবং ৪০ শতাংশ পুরুষ। মেলায় অংশ নিচ্ছে ফ্যাশন ডিজাইন খাতের সবচেয়ে বেশি ১৩০টি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া খাদ্য বা কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ৪৫টি, হস্ত ও কারু শিল্পের ৩৮টি, চামড়াজাত পণ্য খাতের ৩৬টি, পাটজাত পণ্যের ৩৫টি, আইসিটি পণ্য-সেবার ৮টি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের ৬টি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স খাতের ৩টি, প্লাস্টিক পণ্যের ৫টি প্রতিষ্ঠান এবার অংশ নিচ্ছে মেলায়।
১০ দিনের মেলার পাশাপাশি ২৭, ২৮ ও ২৯ নভেম্বর এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন নারী-উদ্যোক্তা, প্রযুক্তি, আইসিটি ও ক্লাস্টার উন্নয়নের ওপর ৫টি সেমিনার আয়োজন করা হবে।