ঢাকার চার শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার ৪ শতাংশের বেশি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালিত এক জরিপে। দুই সিটির ৯৮টি ওয়ার্ডে ২৫ মার্চ থেকে চলা এ জরিপের ৯ম দিনে এমন চিত্র পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম। সূত্র: বিডিনিউজ

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যা পাওয়া গেছে, তা হাউজ ইনডেক্স। আমরা মশার ঘনত্বও হিসাব করব। যদি ব্রুটো ইনডেক্স বেশি পাওয়া যায়, সেটা চিন্তার বিষয়। তার সঙ্গে হাউজ ইনডেক্সটা বেশি থাকলে সেটাও চিন্তার বিষয়। কারণ করোনাভাইরাসের সময় বিভিন্ন নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল, এখন আবার শুরু হয়েছে। মশা নিয়ে জরিপের সময় পরিদর্শন করা মোট বাড়ির মধ্যে কতগুলো বাড়িতে লার্ভা পাওয়া যায়, তা হাউজ ইনডেক্সের মাধ্যমে বোঝানো হয়। আর মশার লার্ভার উপস্থিতি হিসাব করা হয় ব্রুটো ইনডেক্স বা সূচকের মাধ্যমে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ২৫ মার্চ থেকে দুই সিটির ৯৮টি ওয়ার্ডে জরিপ চলছে। ২১ জন কীটতত্ত্ববিদের সমন্বয়ে গড়া দল এসব বাড়ি পরিদর্শন করছেন।

এর আওতায় মোট ৩ হাজার বাড়িতে জরিপ চালানো হবে। শনিবার পর্যন্ত জরিপ করা হয়েছে ২ হাজার ৫২০টি বাড়ি। জরিপে ১১৪টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে, যা মোট বাড়ির ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ।

জরিপ পরিচালনা দলের সমন্বয়ক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, বাড়িতে লার্ভা পাওয়ার এই হার গত বছরের এই সময়ের চেয়ে কিছুটা বেশি। গত বছর ৩ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল। কারণটা হতে পারে মানুষ কিছুটা অসেচতন হয়ে পড়েছে। সতকর্তা অবলম্বন করছে না সেভাবে। বৃষ্টি শুরু হলে লার্ভার এই ঘনত্ব আরও বাড়বে।’

এডিস মশার ঘনত্ব বাড়লে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ হতে পারেÑজানিয়ে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এই মুহূর্তে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করা উচিত। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। নানা ধরনের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেয়া যেতে পারে। জরিপ শেষে মশার ঘনত্ব মেপে জিআইএস ম্যাপিং করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। এতে উত্তর সিটি করপোরেশন এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কোন কোন এলাকায় মশার ঘনত্ব বেশি তা জানা যাবে। সে অনুযায়ী সিটি করপোরেশন মশক নিধনের কার্যক্রম চালাতে পারবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল বলেন, ‘রিপোর্টটা আমরা দ্রুত শেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে দেব। তারা যেন জায়গাগুলো টার্গেট করে তাদের মশক নিধন কার্যক্রম চালাতে পারে।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০