নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের পর পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে ঢাকাসহ অনেক এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে, মাঘের শেষ সময়ে এই বৃষ্টিতে জেঁকে বসতে পারে শীত। গতকাল ঢাকা ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির কারণে শ্রমজীবী মানুষ আর চলতি পথের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। ছুটির দিনে এমন আবহাওয়ায় রাস্তাঘাট আরও বেশি ফাঁকা হয়ে যায়।
আজ শনিবারও এমন আবহাওয়া থাকতে পারে বলে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাওয়ার পর দু-এক দিন ধরে তাপমাত্রা বেড়েছে। তবে পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে আজ হালকা বৃষ্টি হচ্ছে, কালও থাকবে। রোববার থেকে আকাশ পরিষ্কার হলেও তাপমাত্রা কমে শীতের অনুভূতি বাড়বে।’
গতকাল তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনি¤œ আট দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিন রাজশাহীতে ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বগুড়ায় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। দিনাজপুরে ভোর ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত চার ঘণ্টায় ৩০ দশমিক তিন মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছেÑরংপুর, রাজশাহী, বরিশাল, ময়মনসিংহ, সিলেটসহ বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
মাঘের শীতের মধ্যে শুক্রবার দুপুরে বৃষ্টিতে ভিজেছে ঢাকা; তাতে বিপত্তিতে পড়েছেন চলতি পথের যাত্রীরা। দেশের অন্যান্য এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে।
সেইসঙ্গে রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা দু-তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। মাঘের দ্বিতীয়ার্ধে অন্তত ১২টি জেলায় টানা পাঁচ দিন মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এসময় দেশে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা নামে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শৈত্যপ্রবাহের পর তাপমাত্রা বাড়লেও পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে হানা দিয়েছে বৃষ্টি।
ফেব্রুয়ারি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, এ মাসে দেশে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। মাসের শেষদিকে দেশের কোথাও কোথাও দু-এক দিন শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে।