Print Date & Time : 25 June 2025 Wednesday 10:52 pm

ঢাকা-আরিচা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ আরও সহজতর করতে এবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার। মালয়েশিয়া সরকারের একটি প্রতিনিধিদল এরই মধ্যে এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণের জন্য সমীক্ষা যাচাই সম্পন্ন করেছে। প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে।
গতকাল বিকালে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আলোচনায় এই পরিকল্পনার কথা উঠে এসেছে বলে সচিবালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রমেশ চন্দ্র সেন, একেএমএ আউয়াল (সাইদুর রহমান), রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, নাজমুল হক প্রধান, মনিরুল ইসলাম, লুৎফুন নেছা এবং নাজিম উদ্দিন আহমেদ অংশ নেন।
ঢাকা শহরকে বাইপাসের মাধ্যমে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট কমানোর জন্য ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রজেক্টের আওতায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বলিয়াপুর থেকে নিমতলী-কেরানীগঞ্জ-ফতুল্লা বন্দর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত এ প্রকল্পের কাজ হবে। অতিদ্রুত এ প্রকল্পের কাজ শুরুর জন্য মন্ত্রণালয়কে বলেছে সংসদীয় কমিটি।
এছাড়া আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে মেট্রোরেল প্রকল্প দৃশ্যমান হবে বলে সংসদীয় কমিটিকে অবহিত করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এ কাজ শেষ হলে ঢাকা শহরের কাজ অনেকাংশই কমে যাবে বলে জানানো হয়। অন্যদিকে সড়ক বিভাগের আওতায় বিভিন্ন কোয়ার্টারে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের দ্রুত উচ্ছেদ করার জন্য মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
বৈঠকে জানানো হয়, মিরপুর সড়ক গবেষণাগারে ছয়টি আবাসিক ভবনের ৪৬টি ফ্ল্যাটে বেশকিছু বহিরাগত বসবাস করছেন। একইভাবে সেখানকার ১০২টি টিনশেড স্থাপনায়ও বহিরাগতরা থাকছেন। তাছাড়া ঢাকা সড়ক বিভাগের আওতায় ছয়টি ভবনের ৫৬টি ফ্ল্যাট রয়েছে। আর্বারি কালচারের আওতায় ৪৬টি টিনশেডে বহিরাগত রয়েছেন সব মিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক। তাদের অনেকে আবার সাবলেটের মাধ্যমে বসবাস করছেন।
এসব টিনশেড বা সাবলেট বাসার বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণের প্রস্তাব করা হয়। এজন্য সড়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটির মাধ্যমে বহিরাগতদের উচ্ছেদসহ যাবতীয় বিল আদায়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে কমিটি।