নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা ওয়াসার ১৩ খাল উদ্ধার, খনন ও খালের উভয় পাড়ের পাকা করা অংশ যাতে পুনর্দখল ও ভরাট হয়ে না যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে টাস্কফোর্সও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।
গতকাল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশে নদীগুলোর দূষণ রোধ ও নাব্য বৃদ্ধি-সংক্রান্ত ‘টাস্কফোর্স’-এর ৩৬তম সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন নৌপরিবহনমন্ত্রী ও টাস্কফোর্স সভাপতি শাজাহান খান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুস সামাদসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, নদীর সীমানা চিহ্নিত করার লক্ষ্যে জরিপ কাজ এবং সীমানা পিলার স্থাপন ও স্থাপিত পিলারগুলোর মধ্যে আপত্তি উত্থাপিত পিলারগুলো যাচাই করে পুনঃস্থাপনের কাজ অব্যাহত থাকবে। নদীর তীরভূমির দখলমুক্ত জায়গা সুরক্ষায় শক্তিশালী সীমানা পিলার স্থাপন করতে হবে। পিলার উচ্ছেদকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পূর্ণ জরিপকাজ শেষে আদি বুড়িগঙ্গার অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
সভায় আরও জানানো হয়, নদী তীরবর্তী স্থানে স্থাপিত যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্জ্য নদীর পানি দূষণ করছে, যেসব প্রতিষ্ঠানে এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) সব সময় চালু রাখার জন্য পরিবেশ অধিদফতর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।