Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 5:33 pm

ঢাকা-কলকাতা রুটে আরেকটি ট্রেন চালুর প্রস্তাব ভারতের

নিজস্ব প্রতিবেদক: রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। বাংলাদেশে ভারতীয় অর্থায়নে যেসব প্রকল্প চলমান আছে এবং ভবিষ্যতে যেসব প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, সেগুলো নিয়ে এ সময় বিস্তারিত আলোচনা হয়। ভারতের পক্ষ থেকে ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চতুর্থ আন্তঃদেশীয় ট্রেন চালানোর প্রস্তাব দেয়া হয়।

গতকাল সোমবার রাজধানীর রেল ভবনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ভারতের হাইকমিশনার জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু আছে। যাত্রীচাহিদা বিবেচনা করে ঢাকা-কলকাতার মধ্যে দর্শনা হয়ে আরও একটি ট্রেন চালানো যেতে পারে। তখন রেলমন্ত্রী জানান, তিনি ভারত সফরের সময় আধুনিক কোচ তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেছেন। ঢাকা থেকে কক্সবাজারে চালানোর জন্য উন্নতমানের ট্যুরিস্ট কোচ তিনি ভারত থেকে আমদানি করতে আগ্রহী। লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় এই কোচের পাশাপাশি ইঞ্জিন এবং লাগেজ ভ্যান ক্রয়েরও ইচ্ছা আছে।

অনুষ্ঠানে এসব ক্রয়ের বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে দ্রুত বাস্তবায়ন করার তাগিদ দেয়া হয়। রেলমন্ত্রী নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে কানেকটিভিটি বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেন। সেক্ষেত্রে চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রুটকে আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়। পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা নতুন রেললাইন নির্মাণ এবং বাংলাবান্ধা থেকে ভারতীয় অংশ যেখানে সংযোগ স্থাপিত হবে, সেটি ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়নি। কাজেই ভারতকে এ বিষয়টি দ্রুত করার আহ্বান জানানো হয়।

ভারতীয় অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া পর্যন্ত রেললাইন। বগুড়া পর্যন্ত লাইনকে সান্তাহার পর্যন্ত বর্ধিত করার অনুরোধ জানান রেলমন্ত্রী, কারণ বগুড়া থেকে সান্তাহার পর্যন্ত মিটারগেজ লাইন আছে। সেখানে ডুয়েল গেজ লাইন করতে না পারলে ব্রডগেজের উপকার ভোগ করা যাবে না। এর পাশাপাশি ভারতীয় অর্থায়নে খুলনা-মোংলা রেললাইন, ঢাকা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত তৃতীয় ও চতুর্থ রেললাইন নির্মাণে যে সমস্যা, সেটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বেনাপোল স্টেশনের আধুনিকায়ন, সিরাজগঞ্জে আইসিডি নির্মাণ, সৈয়দপুরে একটি আধুনিক মানের কোচ তৈরির কারখানা, বাংলাদেশের সহকারী লোকোমোটিভদের ভারতে ট্রেনিং দেয়ার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।

এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) মো. মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।