Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 4:55 am

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ অপেক্ষা বাড়লো দোলেশ্বর-গাজীর

 

ক্রীড়া প্রতিবেদক : জমে উঠেছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) শিরোপা লড়াই। গতকাল মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে ৯৭ রানে জিতে সেই কাজটিই করেছে প্রাইম দোলেশ্বর ক্রিকেট ক্লাব। কেননা, এ ম্যাচে দোলেশ্বর হারলেই চলতি লিগের শিরোপা উল্লাসে মাততো গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। কিন্তু সেটা হয়নি। আগামীকাল গাজী-দোলেশ্বরের শেষ রাউন্ডের ম্যাচেই নির্ধারিত হবে চ্যাম্পিয়নশিপ।

খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে গতকাল প্রাইম দোলেশ্বরের বোলিং তোপে দাঁড়াতেই পারেনি মোহামেডান। প্রতিপক্ষের দেওয়া ২৬৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে সাদা-কালোরা ৩৪.৫ ওভারে মাত্র ১৬৭ রানেই গুটিয়ে যায়। যে কারণে ৯৭ রানে জিতে আবারও শিরোপার দাবি জোরালো করলো দোলেশ্বর।

গতকাল টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই জাকির আলীকে হারায় দোলেশ্বর। তবে এক প্রান্তে দুর্দান্ত খেলছিলেন শাহরিয়ার নাফীস। দ্বিতীয় উইকেটে ইমতিয়াজ হোসাইনকে নিয়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরান তিনি। ৯৫ বলে এ জুটি ৬৯ রান যোগ করলে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখতে থাকে দোলেশ্বর। কিন্তু দলীয় ১০৮ রানে ইমতিয়াজ (৪৮) জুবায়ের হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরলে কিছুটা ধাক্কা লাগে শরিফুল্লাহর দলে।

চতুর্থ উইকেটে সেই ধাক্কা সমাল দেন মার্শাল আইয়ুব ও শাহরিয়ার। তারা গড়ে তোলেন ৫১ রানের জুটি। এরমধ্যে শাহরিয়ার তুলে নেন অর্ধশতক। কিছুক্ষণ পরই অবশ্য বিপুল শর্মার বলে আউট হন তিনি (৭০)। শেষ দিকে মার্শাল (৫০) ও রজত ভাটিয়ার (৩৭) রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৬৪ রানে থামে দোলেশ্বর।

মোহামেডানের সাজেদুল ইসলাম নেন ২টি উইকেট। এ ছাড়া কামরুল ইসলাম রাব্বি, বিপুল শর্মা ও জুবায়ের হোসেন নেন একটি করে উইকেট।

জয়ের জন্য ২৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৪ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে মোহামেডান। সেখান থেকে সাদা-কালোদের এগিয়ে নিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন বিপুল শর্মা। তৃতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন মিলকে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়ে দলকে পথ দেখান তিনি। কিন্তু সব কিছু ১৯তম ওভারে এলোমেলো করে দেন দোলেশ্বর পেসার দোলোয়ার হোসেন। ওই ওভারেই বিপুল (৪৮) ও তাইজুল ইসলাম (১) সাজঘরে ফিরিয়ে খেলার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে নেন তিনি। শেষ দিকে কামরুল ইসলাম রাব্বির ৩১ রান ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। যে কারণে ৩৪.৫ ওভারে মাত্র ১৬৭ রানেই গুটিয়ে যায় মোহামেডান।