ঢাকা-বরিশাল সরু সড়কে ভোগান্তির শেষ নেই

প্রতিনিধি, মাদারীপুর: দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক। তবে সড়কটি সরু হওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সারাদেশের মহাসড়কগুলোতে একাধিক লেন আছে। কিন্তু ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কটি সরু। এছাড়া এ মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে ধীরগতির অবৈধ যান টমটম, নসিমন, অটোরিকশা ও ভ্যানগাড়ি। এতেও বাড়ছে দুর্ভোগ-দুর্ঘটনা। সরু রাস্তা ও ধীরগতির অবৈধ যানবাহনের কারণেই এ দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ব্যস্ততম এ সড়কে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যানবাহন।

মাদারীপুরের কালকিনির ভুরঘাটা থেকে রাজৈরের টেকেরহাট পর্যন্ত মাদারীপুরের অংশে মহাসড়কটি মাত্র ১৮-২৪ ফুট প্রস্থ। এর মধ্যে অনেক জায়গার অবস্থা নড়বড়ে। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পাশাপাশি প্রস্তাবিত ছয় লেন মহাসড়কের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও নকশা প্রণয়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়া হয়। পরামর্শক চূড়ান্ত নকশা জমা দিলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।

মাদারীপুরের ইতিহাস গবেষক সুবল বিশ্বাস বলেন, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা আগের চেয়ে চারগুণ বেড়েছে। মূলত পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই যানবাহনের সংখ্যা বাড়লেও উন্নতি হয় মহাসড়কটি। কোনো কোনো স্থানে দুটি যানবাহন পাশাপাশি সাইড দিতেও সমস্যায় পড়তে হয়। ফলে এ মহাসড়কে দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। ব্যস্ততম মহাসড়কটি দ্রুত ছয় লেনে উন্নীত করার দাবি জানাই।

মাদারীপুর থেকে ট্রাক নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন ট্রাকচালক আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কটি সরু হওয়ায় যাতায়াত করতে আমাদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

জেলার সোনালী পরিবহনের সুপারভাইজার মামুন-অর-রশীদ বলেন, একেতো রাস্তা সরু, তার ওপর অবৈধ যানবাহন চলাচল করায় প্রায়ই দুর্ঘটনা হচ্ছে।

মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মারুফ রহমান বলেন, ঈদ সামনে আমরা আরও সতর্ক রয়েছি। এ সড়ক দিয়ে যাতে অবৈধ কোনো যানবাহন চলাচল করতে না পারে, সেজন্য কাজ করে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হলে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শুরু করা যাবে। এরই মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রণয়ন করা হয়েছে। সড়ক নির্মাণে কারা অর্থায়ন করবে সেই সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। আশা করছি খুব শিগগির সড়কটির উন্নয়নে কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০