Print Date & Time : 16 June 2025 Monday 9:59 pm

ঢাকা ব্যাংকের বন্ড ইস্যুর প্রস্তাবে বিএসইসির অসম্মতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান ঢাকা ব্যাংক পিএলসির চতুর্থ সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদনে অসম্মতি জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরই মধ্যে ব্যাংকটিকে চিঠি দিয়ে এ তথ্য জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত বছরের জুনে ‘ঢাকা ব্যাংক চতুর্থ সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড’ নামে একটি বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাকা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। ওই বন্ডের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা উত্তোলন করার কথা ছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল ব্যাংকটির টিয়ার-২ মূলধনভিত্তি শক্তিশালী করা। কিন্তু ঢাকা ব্যাংক পিএলসির চতুর্থ সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুতে অসম্মতি জানিয়েছে বিএসইসি। তবে বন্ড ইস্যুর বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য বিএসইসিতে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটির পর্ষদ।

উল্লেখ্য, ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২ হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬ কোটি ৬০ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ২৩৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ১০০ কোটি ৬৬ লাখ ২ হাজার ২৩৮টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৪০ দশমিক ৭৪ শতাংশ শেয়ার।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১১ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮৯৬টি শেয়ার মোট ২৩৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১১ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৪ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭১ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ৪ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫১ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ১ টাকা ৩১ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবে ইপিএস বেড়েছে ২০ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৫৭ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪ টাকা ৫ পয়সা (ঘাটতি), অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৯ টাকা ৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিযেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬৬ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ২৬ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৭ টাকা ৮১ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিযেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ২৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৮ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে পাঁচ টাকা ৩১ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৬ শতাংশ নগদ ও ৬ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৬৫ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১২ টাকা ১২ পয়সা (ঘাটতি)। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিযেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ২৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৮ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে পাঁচ টাকা ৩১ পয়সা।