নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৯০ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৯৭ পয়সা। আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৬৫ পয়সা ও ২০ টাকা ২২ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৭ টাকা ৩০ পয়সা, আগের বছর যা ছিল এক টাকা ৪১ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৬ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টায় অনলাইনে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ জুলাই।
এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ডিএসইতে অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৯ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৯ টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে ৩৭ হাজার ৩৮৭টি শেয়ার মোট ২৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিন্ম ৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৯ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৯ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১৪ টাকায় হাতবদল হয়।
এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ২৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯১ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৫৩ কোটি ২১ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮৭১ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ৮৫ কোটি ৩২ লাখ ১১ হাজার ৮১৯টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪০ দশমিক ৬২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৩ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৪৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ শেয়ার।