কাজী সালমা সুলতানা: ১ মার্চ থেকে ঢাকার পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে। প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই একতরফাভাবে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করেন। ৩ মার্চের পরিবর্তে ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডাকা হয়। বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। এরই মাঝে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৫ মার্চ ঢাকায় আসেন। ১৬ মার্চ থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। প্রকৃতপক্ষে এ আলোচনা ছিল সময়ক্ষেপণ এবং বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেওয়ার কৌশল। একদিকে আলোচনা চলতে থাকে, অপরদিকে পাকিস্তান থেকে সমরাস্ত্র আনা হয়। পাকিস্তান থেকে সামরিক বাহিনীর সদস্য নিয়ে আসা হয় ঢাকায়। একই সঙ্গে ইয়াহিয়া খানের চলে বাঙালি নিধনের পরিকল্পনা। এ পরিকল্পনায় ভুট্টোকেও সঙ্গে নেওয়া হয়। যখন ইয়াহিয়া খানের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়, তখন কোনো ধরনের সমাধান ছাড়াই আলোচনা ভেঙে দেওয়া হয়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ। প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। এদিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ইয়াহিয়া খানের গাড়ির কনভয় স্টাফ হাউজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। অন্ধকার নামতেই সেই বহর আবার ফেরত গিয়েছিল প্রেসিডেন্ট হাউজের দিকে। কিন্তু সেই বহরে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ছিলেন না। গাড়িতে তার জায়গায় বসেছিলেন ব্রিগেডিয়ার রফিক। পাকিস্তানি শাসক ও সেনাকর্মকর্তারা ভেবেছিলেন এভাবে শেখ মুজিব ও অন্যদের ধোঁকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। শেখ মুজিব হয়তো ভাববেন যে, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকাতেই অবস্থান করছেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইয়াহিয়া খানের গতিবিধির সবটুকুই জানতেন। স্বাধীনতার প্রশ্নে বাঙালি এক হয়েছে, তাই এ কাজটি বঙ্গবন্ধুর জন্য সহজ হয়ে গিয়েছিল। আন্দোলনকারীদের প্রতি সেনাবাহিনীর আচরণ বিশেষত সৈয়দপুর, রংপুর ও চট্টগ্রামে জনতার প্রতি সেনাবাহিনীর বেপরোয়া গুণিবর্ষণ বঙ্গবন্ধুকে আরও সতর্ক করে তুলেছিল।
সেই সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন সিদ্দিক সালিক। পরবর্তীকালে তিনি ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ শিরোনামে একটি বই লেখেন। এ বইয়ে তিনি লিখেছেন, ‘মুজিবের গোয়েন্দারা গোটা খেলাটা বুঝে গিয়েছিল। জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নিরাপত্তা দলে কর্মরত লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ আর চৌধুরী দেখে ফেলেছিলেন যে, একটা ডজন গাড়িতে ইয়াহিয়া খানের মালপত্র বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। এ আর চৌধুরী তা শেখ মুজিবকে সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। সন্ধ্যা ৭টায় ইয়াহিয়া খান যখন বিমানে ওঠার জন্য এয়ারফোর্স গেট দিয়ে ঢুকছেন, তখন নিজের দফতরে বসে গোটা দৃশ্যটা দেখছিলেন উইং কমান্ডার এ কে খন্দকার। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফোন করে খবরটা শেখ মুজিবকে জানিয়ে দেন।’
সিদ্দিক সালিক লিখেছেন, ‘ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল থেকে এক বিদেশি সাংবাদিক আমার কাছে ফোন করে জানতে চেয়েছিলেন ইয়াহিয়া খান ঢাকা ছেড়ে চলে গেছেন, এ খবরটা আমি নিশ্চিত করতে পারি কি না!’
ইয়াহিয়া খান ঢাকা ত্যাগ করায় মুজিব-ইয়াহিয়ার আলোচনার পরিণাম নিয়ে ওইদিন দুপুরে মেজর জেনারেল খাদিম হুসেইন নিজের দফতরে বসে ভাবছিলেন। হঠাৎই সামনে রাখা টেলিফোনটা বেজে ওঠে। লাইনের অপর প্রান্তে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান।
টিক্কা খান সরাসরি বলেছিলেন, ‘খাদিম, আজই
করতে হবে কাজটা।’
খাদিম এই নির্দেশের জন্যই অপেক্ষাই করছিলেন। নিজের কর্মচারীদের সঙ্গে সঙ্গেই ওই আদেশ পালনের কথা জানিয়ে দেন তিনি।
সিদ্দিক সালিক লিখেছেন, ‘আমি দেখছিলাম ২৯ ক্যাভালরির রেঞ্জাররা রংপুর থেকে আনানো পুরোনো এম-২৪ ট্যাঙ্কগুলো অয়েলিং করছিল। ক্র্যাকডাউনের সময় ঠিক করা হয়েছিল ২৬ মার্চ রাত ১টা। আশা করা হচ্ছিল ততক্ষণে ইয়াহিয়া খান করাচিতে পৌঁছে যাবেন।’ ২৫ মার্চ রাত প্রায় সাড়ে ১১টায় ঢাকার স্থানীয় কমান্ডার টিক্কা খানের কাছে তিনি অনুমোদন চেয়েছিলেন ক্র্যাকডাউনের সময়টা এগিয়ে আনতে। কারণ তার কাছে খবর আসছিল যে, বাঙালিরা ব্যাপক প্রতিরোধের জন্য তৈরি হচ্ছে। সেই প্রতিরোধ প্রস্তুত হওয়ার আগেই যাতে আক্রমণ করা যায়, সেজন্য সময় এগিয়ে আনার কথা ভাবছিলেন তিনি।
সিদ্দিক সালিক লিখছেন, ‘সবাই ঘড়ির দিকে তাকালাম। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে বহনকারী বিমান তখন সম্ভবত কলম্বো আর করাচির মাঝামাঝি হবে। জেনারেল টিক্কা খান আদেশ দিলেন, ববিকে বলো যতটা সম্ভব দেরি করতে।’
রাত সাড়ে ১১টায় পুরো শহরের ওপর পাকিস্তানি বাহিনী হামলা করেছিল। অপারেশন সার্চলাইট শুরু হয়েছিল।’ সেদিন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ইতিহাসের জঘন্যতম ঘটনার জন্ম দিয়েছিল।
সৈয়দ বদরুল আহসান নিজের বই ‘ফ্রম রেবেল টু ফাউন্ডিং ফাদার’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘শেখ মুজিবের বড় মেয়ে হাসিনা জানিয়েছিলেন গুলির আওয়াজ শুরু হতেই শেখ মুজিবুর রহমান ওয়ারলেসের মাধ্যমে খবর পাঠিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দেন।’
রাত প্রায় ১টায় কর্নেল জেড এ খানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটা দল ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে পৌঁছে। গেটে পৌঁছেই সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি চালাতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক স্থানীয় পুলিশ কর্মী সেই গুলিতে মারা যান। দোতলায় বঙ্গবন্ধু স্ত্রী ও সন্তানদের একটা ঘরে বন্ধ করে বাইরে থেকে আটকিয়ে দেন এবং যতটা সম্ভব জোরে চেঁচিয়ে বলে ওঠেন, ‘ফায়ারিং বন্ধ কর।’
প্রখ্যাত সাংবাদিক বি জেড খুসরু তার বই ‘মিথস্ অ্যান্ড ফ্যাক্টস বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার’ বইতে লিখেছেন, ‘গুলি বন্ধ হওয়ার পরে কর্নেল খান ঘরের ভেতরে ঢোকেন। নিচে কাউকে পাননি তিনি। সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় যান। মুজিব একটা ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শেখ মুজিবকে কর্নেল আদেশ করেন তার সঙ্গে যাওয়ার জন্য। তিনি জানতে চেয়েছিলেন পরিবারকে বিদায় জানিয়ে আসতে পারেন কি না। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিবারের সবার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি।’
খুসরু আরও লিখেছেন, ‘সেনাবাহিনীর গাড়িতে চড়ার সময়ে শেখ মুজিবের খেয়াল হয় যে তিনি পাইপটা ফেলে এসেছেন। কর্নেল আর শেখ মুজিব আবারও ভেতরে গিয়ে পাইপ নিয়ে গাড়িতে ফেরত আসেন। কিছুক্ষণ পর শেখ মুজিবের মনে হয় তার হয়তো কোনো ক্ষতি করা হবে না। কর্নেলকে তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘আসার আগে আমাকে জানানো হলো না কেন?’ কর্নেল উত্তর দিয়েছিলেন, ‘সেনাবাহিনী আপনাকে দেখাতে চেয়েছিল যে আপনাকে গ্রেফতারও করা যেতে পারে।’
জেড এ খান ‘দ্য ওয়ে ইট ওয়াজ’ বইতে লিখেছেন, ‘শেখ সাহেবকে গ্রেফতার করার পর ৫৭ ব্রিগেডের মেজর জাফর ওয়ারলেস মেসেজ পাঠিয়েছিলেন ‘বিগ বার্ড ইন কেজ, স্মল বার্ডস হ্যাভ ফ্লোন।’ জেড এ খান লিখেছেন, ‘আমি জেনারেল টিক্কা খানের কাছে ওয়ারলেসে জানতে চেয়েছিলাম, আপনি কি চান শেখ মুজিবকে আপনার সামনে হাজির করাই? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, আমি তার মুখ দেখতে চাই না।’
সিদ্দিক সালিক লিখেছেন, ‘ওই রাতে মুজিবের সঙ্গে থাকা সব পুরুষ মানুষকে আমরা গ্রেফতার করে এনেছিলাম। পরে চাকরবাকরদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। আদমজী স্কুলে সবাইকে ওই রাতে রাখা হয়েছিল। পরের দিন ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিন দিন পর করাচি নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আমার বন্ধু মেজর বিলালের কাছে জানতে চেয়েছিলাম গ্রেফতার করার সময়েই মুজিবকে খতম করে দিলে না কেন? বিলাল বলেছিলেন, জেনারেল টিক্কা খান ব্যক্তিগতভাবে ওকে বলেছিলেন, যে কোনো উপায়ে শেখ মুজিবকে জীবিত গ্রেফতার করতে হবে।’
ওই রাতেই এক পাকিস্তানি সেনা ক্যাপ্টেন ওয়ারলেসে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হল আর জগন্নাথ হল থেকে কড়া প্রতিরোধ আসছে। সিদ্দিক সালিক লিখেছেন, ‘এক সিনিয়র স্টাফ অফিসার আমার হাত থেকে ওয়ারলেস সেটটা কেড়ে নিয়ে জানিয়েছিলেন, তাদের শেষ করতে তোমার আর কত সময় লাগবে? চার ঘণ্টা!… যত্তসব… তোমার কাছে কী অস্ত্র আছে? রকেট লঞ্চার, রিকয়েলস গান, মর্টার… সবকিছু একসঙ্গে চালাও… দু’ঘণ্টার মধ্যে পুরো এলাকা দখল করে রিপোর্ট কর।’
৪টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর পাকিস্তানি সেনারা দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু বাঙালি জাতীয়তাবাদী ভাবনাকে পাকিস্তানি সেনারা দখল করতে পারেনি। সকালে ভুট্টোকে ঢাকায় তার হোটেল থেকে উঠিয়ে নিয়ে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিমানে ওঠার আগে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেছিলেন, ‘ধন্যবাদ, পাকিস্তান বেঁচে গেল।’
পরদিন সকালে সিদ্দিক সালিক ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়েছিলেন তল্লাশি চালাতে। কিছুই পাওয়া যায়নি সেখানে, শুধু একটা ফ্রেমে বাঁধানো রবীন্দ্রনাথের ছবি ছাড়া। ফ্র্রেমের কাচটা বেশ কয়েক জায়গায় ভেঙে গিয়েছিল, কিন্তু ছবিটা একদম ঠিক ছিল।
ওদিকে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার পর শেখ মুজিবকে মিয়াওয়ালি জেলের এক সেলে বন্ধ করে রাখা হয়। রেডিও তো দূরের কথা, খবরের কাগজও দেওয়া হতো না তাকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর প্রায় ৯ মাস তিনি সেখানে ছিলেন। ৬ থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে চলা এক সেনা ট্রাইব্যুনালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের শাসনক্ষমতা চলে যায় জুলফিকার আলী ভুট্টোর কাছে। মিয়াওয়ালি জেল থেকে বের করে বঙ্গবন্ধুকে রাওয়ালপিন্ডির একটি গেস্ট হাউজে নেওয়ার নির্দেশ দেন জুলফিকার আলী ভুট্টো। ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে রাওয়ালপিন্ডির চকলালা বিমানঘাঁটিতে ছাড়তে ভুট্টো নিজেই গিয়েছিলেন। কোনো কথা না বলে বঙ্গবন্ধুকে তিনি বিদায় জানিয়েছিলেন। পেছনের দিকে আর না তাকিয়ে সোজা বিমানের সিঁড়ি বেয়ে উঠে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
দু’দিন লন্ডনে অবস্থানের পর ৯ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু ঢাকা রওনা হন। মাঝে কয়েক ঘণ্টার জন্য দিল্লিতে নেমেছিলেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, তার পুরো মন্ত্রিসভা, সেনা, বিমান আর নৌবাহিনীর তিন প্রধান এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন। সবার চোখেই ছিল জল। ক্যান্টনমেন্টে এক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ইংরেজিতে ভাষণ দিতে শুরু করেন। মঞ্চে বসা ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুকে অনুরোধ করেন বাংলায় বলার জন্য।
দু’ঘণ্টা পরে ঢাকার পথে রওনা হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। তখন লাখো জনতা বঙ্গবন্ধুকে স্বাগত জানায় স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে। পাকিস্তানি বাহিনী নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যে বাঙালিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল, সেই বাঙালিই পাকিস্তানি বর্বর সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করে। যে নেতার ডাকে লাখো মানুষ জীবন দিয়েছে, সেই নেতা বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত করেন একটি স্বাধীন দেশ, একটি স্বাধীন জাতি, একটি জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ।
গণমাধ্যমকর্মী
salma15august@gmail.com