নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের সুপারিনটেনডেন্ট (প্রশিক্ষণ ও গণমাধ্যম) জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। জাকির হোসেন চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে গতকাল ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ উৎপল ভট্টাচার্যের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। বিবাদী সমন পেলেন কি না, তা জানার জন্য বিচারক ১৫ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন রাখেন বলে সেরেস্তাদার জাহাঙ্গীর আলম আলো জানিয়েছেন। সূত্র: বিডিনিউজ
মামলার আরজি থেকে জানা যায়, মামলার বাদীর ভাই বাচ্চু হোসেনের গোপালগঞ্জের ১০৭ নম্বর হিরাবাড়ি লেনে একটি মুদি দোকান ছিল। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ও এসআই গোলাম কিবরিয়া প্রায়ই দোকানে যেতেন। তারা দোকানের মালপত্র নিয়ে টাকা না দিয়ে চলে যেতেন। একদিন এসআই গোলাম কিবরিয়া ও তার সোর্স প্রবাল বিশ্বাস এসে কফি খেতে চান। বাচ্চু মিয়া কফির পানি গরম নেই বলে তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
গত ৭ মে প্রবাল বিশ্বাস তার দোকানে এসে চা পান করে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর প্রবাল দোকানে এসে বাচ্চুকে বলেন, তোমার দোকানে একটি ব্যাগ ফেলে রেখেছি, যাতে এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা ছিল। তুমি কি পেয়েছ? তখন বাচ্চু ব্যাগ পাইনি বলে জানালে এসআই গোলাম কিবরিয়া তাকে থানায় নিয়ে বেদম প্রহার করে সাদা কাগজে সই নিয়ে ছেড়ে দেন।
এরপর থানা থেকে বের হয়ে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন বাচ্চু মিয়া। হাসপাতাল থেকে ১৬ মে ছাড়পত্র নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে নির্যাতনের বিচার চেয়ে আবেদন করেন। এর তদন্ত ভার দেওয়া হয় এসপি জিয়াউল হককে। তিনি অভিযোগের সত্যতা পাননি বলে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বাদীর আইনজীবী মাইনউদ্দিন জানান, পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পর বাচ্চু ও তার স্ত্রী সাহিদার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জে পুলিশের সোর্স মিথ্যা মামলা করেন। নির্যাতনের পরও পুলিশ বাচ্চুর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেওয়ায় পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে দাবি করে তার ভাই জাকির হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। সূত্র বিডিনিউজ