আ ন ম মাছুম বিল্লাহ ভূঞা: ঢাকা শহরে মানুষের অন্যতম প্রধান সমস্যা যানজট, বায়ু ও শব্দদূষণ এবং জলাবন্ধতা। যানজট, বায়ু ও শব্দদূষণই ঢাকা শহরের ক্যানসার। মানব শরীরের সব ক্যানসারের চিকিৎসা না থাকলেও ঢাকা শহরের এই ক্যানসারের সঠিক ও সমাধান যোগ্য বাস্তবিক চিকিৎসা রয়েছে। ঢাকা শহরে যেখানে আর এত তীব্র-অসহনীয় যানজট এবং বায়ু ও শব্দদূষণ অথবা জলাবদ্ধতা নেই, বাস্তবে তা সম্ভব কি? এই যানজট ও দূষণের জন্য অন্যতম বেশি দায়ী ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়া। অধিকাংশ সময়ই একটি ব্যক্তিগত গাড়ির ভেতরে একজন মাত্র যাত্রী বসে থাকেন।
ঢাকা মহানগরীর সড়ক ব্যবস্থা উন্নয়নকল্পে হাঁটা পথ ও সাইকেলপথ রাখার কথা অনেক কাল ধরে বলা হয়ে থাকলেও কিন্তু বাস্তবে অপর্যাপ্ত হাঁটাপথগুলো অধিকাংশ সময় নির্মাণ করার জন্য খুঁড়ে রাখা হয় অথবা নির্মাণকাজের সামগ্রী দিয়ে পূর্ণ থাকে এবং সড়কগুলোর ভেতরে উন্নত হাঁটা পথ ও সাইকেলপথ করার কোনোই ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এছাড়া লক্ষ্য করা যায়, হাঁটাপথের তলা দিয়ে ওয়াসার নালা, টেলিফোনের লাইন, বিদ্যুৎ লাইন প্রভৃতি। আবার হাঁটাপথগুলো একবার মেরামত হলেই তার ওপরে মোটরসাইকেলের অবাধ যাতায়াত করে এবং মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি পার্কিং করে রাখে এর কোনো জবাবদিহিতা নেই। তখন চলাচলে পথচারীকে অতিষ্ঠ হতে হয় এবং অনেকেই দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল এখন ঢাকা নগরীর সবচেয়ে বড় আপদ হলেও রিকশা কোনো প্রকার বায়ুদূষণ করে না, তারপরও অনেক সড়কে রিকশাপথ তুলে দেয়া হয়েছে কিন্তু কেন তা করা হয় বোধগম্য নয়? ঢাকা শহরের মোট সড়কের প্রায় ৫০ শতাংশ জুড়েই চলাচল করে ব্যক্তিগত গাড়ি অথচ এগুলো বহন করে মাত্র ১২ শতাংশ যাত্রী। চলতি বছরের তিন মাসে ঢাকায় নতুন যান্ত্রিক যানবাহন নিবন্ধিত হয়েছে ৪৩ হাজার ৬২১টি, এর মধ্যে সাড়ে ৮ হাজারই ব্যক্তিগত যান্ত্রিক যানবাহন। বিপুলসংখ্যক নতুন গাড়ি রাস্তায় নামলেও ঢাকায় সড়ক বাড়েনি, বাড়ানো সম্ভবও নয়। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসের নিবন্ধিত চিত্র দেখে জানা যায়, ঢাকা শহরে দিনে গাড়ি নামছে ৪৯৫টি। সরকারি সংস্থা বিআরটিএ গাড়ি নিবন্ধন নিয়ন্ত্রণ না করার কারণে রাজধানীর যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নগরীর সড়কগুলোয় সিগন্যাল ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য শত শত কোটি টাকা খরচ করা হলেও পথচারী নিরাপদে রাস্তা পারাপারে পর্যাপ্ত জেব্রাক্রসিং নিশ্চিত করা হয়নি। ঢাকা সড়ক পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নগরীতে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল চলাচল ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ করা এবং গণপরিবহন, বাইসাইকেল, রিকশা, ভ্যান যানগুলো চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট পথ করে দেয়া।
বিশ্বব্যাংক ও বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ সালে ঢাকার সড়কে যানবাহনের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারে। এআরআইয়ের হিসাবে এখন যানজটের কারণে ঢাকায় দৈনিক ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে যানজটে দিনে ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা ক্ষতি হয়েছিল। তখন এর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল বছরে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা। নগর পরিকল্পনা বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি শহরের আয়তনের ২৫ শতাংশ সড়ক থাকা দরকার হলেও রাজধানী ঢাকা শহরে আছে মাত্র ৯ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে যানজট কমাতে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি কমানোর বিকল্প নেই। যদিও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে গণপরিবহন বাড়ানোর পরামর্শ বিভিন্ন সময়ে দেয়া হলেও তা আমলে নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
যানবাহনের নির্গত ধোঁয়া ঢাকাকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে। পরিবেশবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্রিন পিস এক প্রতিবেদনের তথ্য মতে, বায়ুদূষণে বাংলাদেশে বছরে প্রায় সোয়া লাখ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে এবং একই কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে ৯৬ হাজার শিশুর অকালমৃত্যু হয়েছে। এই জন্য ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহার বন্ধ করে এর বিকল্প স্বরূপ গণপরিবহন (যেমন: রেল, বাস, ট্রাম ইত্যাদি) ও নদী পথের মাধ্যমে যাতায়াত নিশ্চিত করা এবং পাশাপাশি অযান্ত্রিক যানবাহন বৃদ্ধিসহ (যেমন: রিকশা, বাইসাইকেল ইত্যাদি) ব্যবহার বাড়াতে হবে। প্রাথমিকভাবে সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এবং বিকাল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের ওপর সারচার্জ আরোপ করা যেতে পারে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার জন্য ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার বন্ধে আইন ও নীতিমালা করা। দক্ষতার সঙ্গে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা এবং কয়লা ও তেলের (যেমন: ডিজেল, অকটেন ও পেট্রোলের) ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে, এর পাশাপাশি ক্লোরোফ্লোরো কার্বন জাতীয় গ্যাস নিঃসরণকারী যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নীতিমালা করে উচ্চহারে কর আরোপ এবং বাস্তবায়ন করা।
বাংলাদেশ সরকার বায়ুদূষণ হ্রাসে যেভাবে টু-স্ট্রোক যানবাহন নিষিদ্ধ করেছিল, ঠিক তেমনি জলবায়ু বিপর্যয় প্রতিরোধে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এমনকি একই মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হলে প্রত্যেকেই বাড়ির নিকটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার সুযোগ পাবে, তখন যান্ত্রিক বাহনের ব্যবহার অনেক হ্রাস পাবে। আন্তর্জাতিক উদাহরণ: লুক্সেমবার্গে সরকারিভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য গণপরিবহনে যাতায়াত বিনামূল্যে করে দেয়া হয়েছে। এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুরে ব্যক্তিগত গাড়ির নিবন্ধন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
পৃথিবীতে প্রতিদিন ১০ কোটি ব্যারেল জ্বালানি তেল ব্যবহার করা হয়। শুধু প্লাস্টিকজাত পণ্য তৈরি করতে বছরে ১.৭ মিলিয়ান ব্যারেল তেল পোড়াতে হয়। প্রতি কেজি প্লাস্টিক উৎপাদনে ২ থেকে ৩ কেজি কার্বন নিঃসরণ হয়। আমরা জানি তেল পোড়ালে কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়, যা পরিবেশকে দূষিত করে। ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে প্লাস্টিকের অত্যন্ত নেতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। ২০০২ সাল থেকে সারাদেশে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও কর্তৃপক্ষের দেখভালের (মনিটরিং) যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে এবং উক্ত আইনে একবার ব্যবহƒত (ওয়ান টাইম ইউজ) প্লাস্টিকজাত পণ্যকে যেমন: প্লাস্টিক প্লেট, কাপ, বোতল, স্ট্র, চামচ, খাবার বক্স প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তাই একবার ব্যবহƒত (ওয়ান টাইম ইউজ) প্লাস্টিকজাত পণ্যকে বন্ধ করতে আইন ও নীতিমালা তৈরি করে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
বিশেষ করে প্লাস্টিকজাত পণ্য ব্যবহারে পর যত্রতত্র ছুড়ে ফেলার ফলে পানি, মাটি, জলাদ্বার, জলজ পরিবেশ, নদী-নালা ও সামুদ্রিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্লাস্টিকজাত দ্রব্য পচে মাটির সঙ্গে মিশতে সময় লাগে কমপক্ষে ৪০০ বছর। এমনকি মেশার পরও তা ফসলি জমির মাটির উর্বরতা নষ্ট করে। প্লাস্টিকজাত পণ্য বৃষ্টির পানি আটকে নগরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার ও খালের পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং এগুলোকে অচল করে দেয়; ফলে ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্লাস্টিকজাত পণ্যের ব্যবহার বন্ধ করা গেলে বুড়িগঙ্গা নদীসহ অন্য নদীগুলোও প্রাণ ফিরে পাবে এবং অনেক জলাভূমি ও জলাদ্বারের জীব-বৈচিত্র্য ধ্বংসের হাত হতে রক্ষা পাবে। এই জন্য আমাদের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে হবে। বিকল্প হিসেবে পাটের ও কাপড়ের থলে, অ্যালুমিনিয়াম, কাচ, স্টিল, কাঁসা, পিতলের ও আমাদের ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈজসপত্র ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
এছাড়া আমাদের দেশে ইটের ভাটায় যখন ইট পোড়ানো হয়, তখন সেখান থেকে কালো ধোঁয়ার নির্গত হয়। সেখানকার সেই কালো ধোঁয়াও বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। ফলে বায়ুদূষণের কারণে দেখা দিচ্ছে তাপমাত্রার অস্বাভাবিক পরিবর্তন। রাজধানী ঘিরে থাকা কয়েক হাজার ইটভাটার নির্গত ধোঁয়া ঢাকাকে দূষণের অন্তিম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। বায়ুদূষণের ফলে ঢাকা শহরের তাপমাত্রা আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘গ্লোবাল লিভঅ্যাবিলিটি ইনডেক্স’-এর তথ্য মতে, ঢাকা শহর বিশ্বে বসবাসের অনুপযোগী শহরগুলোর তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে আছে। অপরিকল্পিত নগরায়ণই এর মূল কারণ। আর এমন নগরায়ণের কারণে প্রতি বছরই বাড়ছে ঢাকার ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রাও। বায়ুমণ্ডলে বাড়ছে কার্বন ডাই-অক্সাইড বাড়ার ফলে ওজন স্তরের ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
একটি গবেষণা অনুযায়ী, গত ১৮ বছরে ঢাকা শহরের ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৪ থেকে সাড়ে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়ছে। এছাড়া আবহাওয়াবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আক্কু ওয়েদারের সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ঢাকার তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও মানুষের কাছে এর অনুভূতি ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে দিন ও রাত দুই সময়ে তাপমাত্রা বেশি থাকায় মানুষ গরমের অনুভূতি থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এজন্য রাজধানী ঢাকাকে ঘিরে থাকা ইটভাটার বন্ধ করা এখন জরুরি দরকার। তাছাড়া ঢাকা শহরের জলাভূমির বেশিরভাগই এখন ভরাট করা হয়েছে। জলাভূমি মানবদেহের কিডনির মতো একটি শহরের কিডনি হিসেবে কাজ করে। শহরের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমাতেও এটি ভূমিকা রাখে।
পরিবেশ ভালো না থাকলে মানুষসহ কোনো প্রাণীই ভালো থাকতে পারে না। করোনাভাইরাসের কারণে সরকার কর্তৃক লকডাউনের আদেশের ফলে যানজট ও বায়ুদূষণ অনেকাংশে কমে গিয়েছিল বটে, কিন্তু উক্ত আদেশ শিথিল করার কারণে ঢাকা শহরকে দূষণ ও যানজট আবার বেড়ে চলেছে। ঢাকা শহরকে দূষণ কমাতে এবং বাসযোগ্য রাখতে হলে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, প্লাস্টিকজাত পণ্য ব্যবহার বন্ধ করা, ঢাকাকে ঘিরে থাকা ইটভাটার বন্ধ করা অতীব জরুরি। এগুলো বাস্তবায়নে সর্বপ্রথম মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করা, যেকোনো মূল্যে জলাভূমিগুলো রক্ষা করা এবং পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ ও বাড়ির ছাদে বাগান করাসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। খাদ্য তৈরিতে সবুজ গাছ বাতাস থেকে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কার্বন ডাই-অক্সাইড উপাদানটি সংগ্রহ করে। উদ্ভিদ তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং গাছের পাতা বায়ু পরিশোধনের ছাঁকনি হিসেবে কাজ করে। আর এসব না করলে ঢাকা শহরের দূষণ এবং তাপমাত্রা আরও বাড়বে। কিন্তু আমরা এই গাছপালা নির্বিচারে কেটে ফেলছি। এতে শহরে বাস করাই কঠিন হয়ে পড়বে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সৌরশক্তি নির্ভর যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। শিল্প-কারখানা স্থাপন, গৃহায়ণ ও রাস্তাঘাট নির্মাণে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে; যাতে করে পরিবেশ দূষিত না হয় এবং এলাকার ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তাই পরিবেশ দূষণরোধে ব্যক্তিগতভাবে যেমন সচেতন হতে হবে, তেমনি সমষ্টিগতভাবে তা প্রতিরোধ করতে হবে।
আইনজীবী
masumbillahlaw06@gmail.com