নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আলাদা ইউনিট করে এবং শয্যা বাড়িয়েও রোগীর চাপ সামাল দেয়া যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন গত কয়েক দশকে এবারই ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। সারা দেশের মধ্যে রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বেশি নাজুক অবস্থায় রয়েছে।
এ অবস্থায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১১টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। যে ১১টি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) রয়েছে ছয়টি এলাকা এবং উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) পাঁচটি।
এলাকাগুলো হলো- যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলী, জুরাইন, মানিকনগর, সবুজবাগ, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও ও বাড্ডা।
অন্যদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২২ জুলাই সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ২৪২ জন। এরমধ্যে রাজধানীতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১২৩৯ জন। অর্থাৎ ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে রোগী বেশি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এলাকাভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দক্ষিণের যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলি, জুরাইন, ধানমন্ডি এবং বাসাবো এলকায় আক্রান্তের হার বেশি। উত্তর সিটি করপোরেশনের উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও এবং বাড্ডা এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি।
এর আগে ডেঙ্গু রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ৮০০ শয্যার ডিএনসিসি হাসপাতালকে ‘ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতাল’ ঘোষণা করা হয়। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়, চালু করা হয় হটলাইন সেবা।