ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেকহোল্ডার পরিচালক নির্বাচন ২১ মার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেকহোল্ডার পরিচালক নির্বাচন আগামী ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। ইতোমধ্যে তিন সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

‘ডিএসই শেয়ারহোল্ডার ডিরেক্টরস ইলেক্টশন রেগুলেশনস- ২০১৪’ অনুযায়ী এ নির্বাচন পরিচালিত হবে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান শেয়ারহোল্ডার পরিচালক শাকিল রিজভী ও খাজা গোলাম রসুলের মেয়াদ এ বছর শেষ হবে। এই দুই পদে পরিচালক নির্বাচন করা হবে।

২১ মার্চ মঙ্গলবার ভোটের মাধ্যমে পরিচালক নির্বাচিত করা হবে। স্টক এক্সচেঞ্জ বিল্ডিংয়ের নিচতলায় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন নির্বাচনের ফল প্রকাশ করা হবে। তবে ডিএসইর ৫৫তম এজিএমে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে।

ডিএসই জানায়, শেয়ারধারী পরিচালক পদে নির্বাচনে লড়তে আগ্রহী প্রার্থীদের ২৫ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) জমা দিয়ে মনোনয়ন সংগ্রহ করা যাবে। শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নির্বাচনের ভোটারদের তালিকা প্রকাশ হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি এবং যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টায়। ২০ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল পর্যন্ত নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন। এদিন বিকাল ৪টায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে ১৪ মার্চ নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

ডিমিউচুয়ালাইজেশনের (স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করা) শর্ত অনুসারে প্রথম বছর চারজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নির্বাচিত হবেন। এক বছর পর তাদের মধ্য থেকে একজন বিদায় নেবেন। তার বিপরীতে নতুন একজন পরিচালক নির্বাচিত হয়ে পর্ষদে যুক্ত হবেন। পরের বছর অপর তিনজন থেকে একজন পরিচালক অবসরে যাবেন। তার বিপরীতে নির্বাচনের মাধ্যমে আরও একজন নতুন পরিচালক যুক্ত হবেন। একই নিয়মে তৃতীয় বছরেও অপর একজন পরিচালক অবসরে যাবেন এবং নতুন একজনকে নির্বাচিত করা হবে। এভাবে প্রতিবছর একজন পরিচালক অবসরে যাবেন এবং তার বিপরীতে নতুন একজনকে যুক্ত করা হবে।

সূত্র জানায়, ডিএসইর নির্বাচন বিষয়ে তিন সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আব্দুস সামাদ। নির্বাচন কমিশনের অন্য দুই সদস্য হলেন হারুন সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুন-উর-রশিদ এবং এম অ্যান্ড জেড সিকিউরিটিজ লিমিডেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মনজুর উদ্দিন আহমেদ।