নজরুল ইসলাম: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছে। ফার্মেসি অনুষদের উন্নয়ন তহবিলের হিসাব থেকে ৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফার্মেসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব থেকে ৩ লাখ টাকা সরানো হয়েছে। হিসাব দুটি অগ্রণী ব্যাংকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় পরিচালিত হয়। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে এ অর্থ সরানো হয়। চেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে অনুষদের সাবেক ডিন এসএম আবদুর রহমানের সই। দুদকের মামলার এজাহার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ অভিযোগে ফার্মেসি অনুষদের ডিন অফিসের প্রধান সহকারী মুহাম্মদ রাশেদ সাজ্জাদ সরকার ও অফিস সহায়ক (পিয়ন) সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২৯ মার্চ দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলাটি দায়ের করেন উপপরিচালক হুমায়ুন কবীর।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, জালিয়াতি ও সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা ঢাবির ফার্মেসি অনুষদ উন্নয়ন তহবিল হিসাব ও ফার্মেসি অনুষদের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন হিসাব থেকে ১০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
চুরির ঘটনায় ফার্মেসি অনুষদের সিনিয়র সহকারী রেজিস্ট্রার কাজী শাহিদুর রহমান গত ২২ মার্চ রাজধানী ঢাকার শাহবাগ থানায় একটি অভিযোগ (জিডি নম্বর ১৬৩৬) দায়ের করেন। সেটি তফসিলভুক্ত হওয়ায় তদন্তের জন্য দুদকের কাছে পাঠানো হয়। পরে দুদক মামলা দায়ের করে।
চুরির ঘটনায় দুই কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গত ২২ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমে তাদের রাজধানীর শাহবাগ থানায় আটক রাখা হয়। পরে আদালতে পাঠানো হয়। তার আগে চুরির বিষয়টি নজরে আসার পর গত ১০ জানুয়ারি ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন তৎকালীন ডিন আবদুর রহমান। কমিটির প্রতিবেদনে দুজনকে সন্দেহ করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটি এ ঘটনায় নিয়মিত মামলার সুপারিশ করেছিল। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে মামলা করার সিদ্ধান্তটি অনুমোদিত হয়।
মুহাম্মদ রাশেদ সাজ্জাদ সরকারের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানায়। তিনি বর্তমানে ঢাকার মিরপুরে থাকেন। সুজন মিয়ার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানায়। তিনি ঢাকার কল্যাণপুরে থাকেন।
