নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিট না রাখার সিদ্ধান্ত এবারের মতো পিছিয়ে দেয়া হলো সমালোচনার মুখে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ঘ’ ইউনিট থাকবে, তবে এরপর আর নয়। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত হয়েছে এবারই শেষ। এরপর থেকে কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদ মিলে একটা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিভিন্ন অনুষদের ডিন সভায় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত একজন ডিন বলেন, ‘ঘ’ ইউনিট না রাখার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের বিভাগ পরিবর্তনের নীতিমালা করতে গত ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি ডিনস সাব কমিটির সভা হয়। ‘ঘ’ ইউনিট যেন থাকে সে জন্য নোট অব ডিসেন্ট দেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন।
আর কলা ও সামাজিক বিজ্ঞানের সঙ্গে আইনকেও যেন অন্তর্ভুক্ত করা হয়, সে জন্য নোট অব ডিসেন্ট দেন আইন অনুষদের ডিন। ডিনস সাব কমিটির সুপারিশ আজকের সভায় আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পূর্ব প্রস্তুতি ও সুবিধার কথা বিবেচনা করে এ বছর ‘ঘ’ ইউনিট বহাল রাখা হচ্ছে। আগামীতে যে প্রক্রিয়ার মধ্যে পরিবর্তন করা যায়, সেভাবে পরিবর্তন করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ‘ক’ ইউনিটে, মানবিকে ‘খ’ ইউনিট, বাণিজ্যে ‘গ’ ইউনিট বিভাগ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ‘ঘ’ ইউনিট এবং চারুকলার জন্য ‘চ’ ইউনিটে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছিল এতদিন। উচ্চ মাধ্যমিকের বিভাগ পরিবর্তনের জন্য বিজ্ঞান, কলা ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ইউনিটে যোগ্যতা পূরণ করতে পারলে ‘ঘ’ ইউনিটে আবেদন করতে পারতেন। বিজ্ঞানের ছাত্ররা এই ইউনিটে পরীক্ষা দিয়ে কলা ও ব্যবসায় শিক্ষার বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেতেন। একইভাবে সুযোগ পেতেন কলা ও ব্যবসায় শিক্ষায় এইচএসসি পাস শিক্ষার্থীরা।