ঢালাওভাবে রেমিট্যান্স প্রণোদনার পক্ষে নন পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রবাসীরা দেশে খায় না, আয় এনে দেয়। তবে ঢালাওভাবে প্রণোদনা দেয়ার পক্ষে আমি নই। যারা মাসে ২ থেকে ৩শ ডলার রেমিট্যান্স পাঠায় তাদের প্রণোদনা দেয়া দরকার। ঢালাওভাবে রেমিট্যান্স দিলে অনেকে টেবিলের নিচ দিয়ে অর্থ পাঠিয়ে ওপর দিয়ে এনে ঘরে বসেই প্রণোদনা নেবে।

গতকাল শনিবার কারওয়ান বাজার সিএ ভবনে ‘সাম্প্রতিক সময়ে সামষ্টিক অর্থনীতি: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। ইনিস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) ও ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) যৌথভাবে এ আলোচনার আয়োজন করে।

কৃষিতে ভর্তুকি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমি কৃষকের সন্তান। আমি নিজেও কৃষক ছিলাম, আমার পাড়া-প্রতিবেশীরাও কৃষক। তবে ধীরে ধীরে কৃষিতে ভর্তুকি দেয়া থেকে সরে আসা উচিত। কারণ গ্রামের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। গ্রামে বাড়ি ঘরের রূপ পরিবর্তন হয়েছে, ছেলে-মেয়ে পড়াশুনা করছে। সবাই ভালো আছে।

শ্রীলঙ্কা ভীতি রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে ভর্তুকি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য দেয়া হয়। শ্রীলঙ্কাও অর্গানিক কৃষিতে গিয়েছিল, ফেল করেছে। তাই কৃষিকে সব সময় আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি।

অপচয়রোধ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমরা অপচয় রোধ করতে কাজ করছি। মাঝেমধ্যে আয়েশি ভাব করেছিলাম। এটার রাশ টানতে হবে। এখন ১৮শ প্রকল্প রয়েছে। এগুলোর গুরুত্ব অনুসারে সাজানো হবে। কোনটা আগে প্রয়োজন কোনটা পরে সেটা বের করতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আইসিএবির সভাপতি শাহদাৎ হোসেন, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আহসান এইচ মনসুর, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন আবুল কাসেম খান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান, পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. মাসরুর রিয়াজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ, ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভী, সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম, বার্তা সংস্থা এএফপির ব্যুরো চিফ এম শফিকুল আলম প্রমুখ। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন আইসিএবির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির।

এখন দেশে রেমিট্যান্স পাঠালে আড়াই শতাংশ হারে নগদ সহায়তা পাচ্ছেন প্রবাসীরা। পাঁচ হাজার ডলারের ওপরে বা ৫ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্স এলে কোনো ধরনের কাগজপত্র ছাড়াই প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে বিনা প্রশ্নে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০