নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি বলেছিল, আওয়ামী লীগ ৩০টা আসনও পাবে না। ২০০৮ সালে তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হয়েছিল। তখন আপনারা পেয়েছিলেন ২৯ আসন। সেই তত্ত্বাবধায়ক আর আসবে না, আদালত তাকে কবরে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার রাজধানীর পল্লবীতে যুবলীগ আয়োজিত ঢাকা মহানগর উত্তরের ঢাকা-১৬ সংসদীয় আসনের ছয়টি ওয়ার্ডের ইউনিটগুলোর ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যুবলীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে উত্তাল তরঙ্গমালা। যুবলীগ রাজপথের বৈশাখী ঝড়। কয়েকটি ওয়ার্ড সম্মেলনে যুবলীগ যে জাগরণ তৈরি করেছে, তাতে আমি আশাবাদীÑযত চক্রান্তই হোক না কেন নৌকা আবার বিজয়ী হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি বলে ভোটের প্রতি নাকি জনগণের আগ্রহ নেই। অথচ বরিশাল ও খুলনার নির্বাচনে ইসি বলছে, ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ ভোটার ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছে। বিপুল ভোটে বরিশাল ও খুলনায় নৌকা বিজয়ী হতে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, লোডশেডিং নিয়ে বিএনপি কিছুদিন আগে তুলকালাম করেছে। অথচ তোরা দিলি খাম্বা, আমরা দিলাম বিদ্যুৎ। তাদের আমলে ছিল তিন হাজার ২০০ মেগাওয়াট। আমরা সেটা নিয়ে এসেছি ২৭ হাজার মেগাওয়াটে। লোডশেডিংয়ের কারণ দেখিয়ে বিএনপি বলেছে, শেখ হাসিনার গদি নাকি আর নেই। শেখ হাসিনার ওপর আল্লাহর রহমত আছে। যে নেতা সারারাত জনগণের কথা ভাবে, সেই নেতাকে হটানো এত সহজ নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তাপমাত্রা কমার সঙ্গে লোডশেডিং কমে গেছে আর থাকবে না। সয়াবিন তেলের দামও ১০ টাকা কমে গেছে। জিনিসপত্রের দাম আরও কমতে থাকবে। আপনাদের দুঃখ-কষ্ট আর থাকবে না। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আছি। আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে বেইমানি করবে না।
সম্মেলনের প্রধান বক্তা মির্জা আজম বলেন, বিএনপি আজ প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা বলে, খালেদা জিয়া নাকি প্রথম মহিলা মুক্তিযোদ্ধা। অথচ মুক্তিযুদ্ধের সময় সে ক্যান্টনমেন্টে ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারেক জিয়ার বয়স ছিল ছয়-সাত বছর। তাকে বলা হয় শিশু মুক্তিযোদ্ধা। বিএনপির এসব মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে যুবলীগকে কাজ করতে হবে এবং উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে হবে।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সংসদ সদস্য ইলিয়াস হোসেন মোল্লা প্রমুখ।