তফসিলকে ‘স্বাগত’ জানালেন রওশন, অংশগ্রহণ প্রশ্নে জাপার সিদ্ধান্ত শিগগির

নিজস্ব প্রতিবেদক :দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ।

দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, তারা ৩০০ আসনেই ভোট করার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন। যদি তারা মনে করেন জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, তাহলেই ভোটে আসবেন। আর ভোটে অংশ নেয়া বা না নেয়ার এই সিদ্ধান্ত কয়েক দিনের মধ্যেই নেয়া হবে।

আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল তফসিল ঘোষণার পর বুধবার রাতে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠান রওশন এরশাদ।

এতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের জানিয়ে তিনি আশা করেন, কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবে।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে, এটা তাদের দায়িত্ব। নির্বাচনে কে আসবে না আসবে, তাদের বাধ্যবাধকতা আছে তফসিল ঘোষণা করার। এ বিষয়ে আমাদের কোনো কথা নেই।

ভোটে অংশগ্রহণ প্রশ্নে জাতীয় পার্টির চিন্তা কীÑএই প্রশ্নে চুন্নু বলেন, ‘আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি যে যাব কি; যাব না। আমরা আরও কিছু দিন দেখব পরিবেশটা হয় কি না। তবে আমরা এককভাবে ৩০০ আসনে নির্বাচন করব, এমন প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।’

কোন কোন বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এবং কবে নাগাদ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবেÑজানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে ভোটাররা আসবে, তারা ভোট দিতে পারবে নির্বিঘ্নে, এই পরিবেশটা এখনও আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না।’

যদি বিএনপি নির্বাচনে না আসে, তাহলেও কি জাতীয় পার্টিও কি বর্জন করবে?Ñ এই প্রশ্নে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা যদি মনে করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, অবাধ হবে, মানুষ ভোট দিতে পারবে, তাহলে আমরা নির্বাচনে যাওয়ার কথা চিন্তা করব। কে  এলো  বা  এলো  না; সেটা বড় বিষয় নয়। বড় বিষয় হলো নির্বাচন ভালোভাবে হলো কি না, বিশ্বাসযোগ্যভাবে হলো কি না। বিশ্বাসযোগ্য যদি একটা অবস্থা হয়, তাহলে তো কারও না আসার কোনো কারণ নেই।’

এই সিদ্ধান্ত কবে নাগাদ হবেÑ জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ‘অফুরন্ত সময় তো নাই, যেহেতু তফসিল দিয়েছে, আমার মনে হয় কয়েক দিনের মধ্যেই একটা সিদ্ধান্ত হতে পারে।’

আওয়ামী লীগ সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করলেও এখনও আলোচনা হতে পারে বলে বিশ্বাস করে জাতীয় পার্টি।

তফসিলটা ঐকমত্যের ভিত্তিতে হলে ভালো হতো মন্তব্য করে চুন্নু বলেন, ‘আমরা মনে করি, এখনও সময় আছে।’

বিএনপির তত্ত্বাবধায়কের দাবি পূরণে নির্বাচন কমিশন কিছু করতে পারবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা করতে পারবে একমাত্র সরকারি দল। তারা সবাইকে নিয়ে ডাকলে এবং বিএনপিও যদি ছাড় দিয়ে বসে, তাহলে একটা পরিবেশ হবে। দুই দলই এটা করবে, এটা আমাদের ধারণা, আমরা এটা চাইও।’

সংলাপ নাকচ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে চুন্নু বলেন, ‘এটা  উনারা বলতে পারেন। তবে আমি মনে করি জনগণকে কষ্ট না দিয়ে এই যে, একটা সংঘাতময় পরিস্থিতি, এটা থেকে উত্তরণ করতে হলে আলোচনা প্রয়োজন।

‘রাজনীতিতে চূড়ান্ত বলতে কিছু নেই। ওনারা যদি বিষয়টা পুনর্বিবেচনা করেন তাহলে বিষয়টা দেশের জন্য ভালো হবে। বিএনপিও দেশ চালিয়েছে। তাদের আন্দোলনের জন্য জনগণ কষ্টে আছে। তারাও আলোচনায় আসতে পারে।’

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০