তফসিল ঘোষণার পর আগের মামলায় গ্রেপ্তার করলে হস্তক্ষেপ করবে ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক :সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আগের মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) হস্তক্ষেপ করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। নির্বাচন ভবনে গতকাল রোববার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ইসি আলমগীর বলেন, ‘সংবিধানের দৃষ্টিতে ভোটে কোনো বাধা দেখছে না নির্বাচন কমিশন। সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করবে না ইসি। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য তফসিল ঘোষণার পর যেন কোনো রাজনৈতিক মামলা বা আটক করা না হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব নিয়েছি দলীয় সরকারের অধীনে। নির্বাচনে পুলিশ ও ডিসি আমাদের কথামতো কাজ করবে। পুলিশ ও রাজনীতির দায়িত্ব আমরা পালন করি না। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার জন্য নতুন করে যেন গ্রেপ্তার না হয়। কারও বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মামলা থেকে থাকলে নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার করুন। তফসিল ঘোষণার পর যেন গ্রেপ্তার করা না হয়।’

বিএনপির নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন শিডিউল ঘোষণার পরে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেন না সিইসি এই কথা বলেছেন। মামলা ও ক্রিমিনাল অফেন্স থাকলে গ্রেপ্তার করতে হবে তফসিল ঘোষণার আগে।’

এদিকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন বলেও জানিয়েছেন।

ইসি বলেন, সেনাবাহিনী তো আমাদের আগের সবগুলো জাতীয় নির্বাচনেই মোতায়েন হয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না, সেটাই উনি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল) বলেছেন।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মোতায়েন করা হয়েছিল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। সে সময় ৩৮৯টি উপজেলায় সেনাবাহিনীর ৪১৪ প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন), ১৮টি উপজেলায় নৌবাহিনীর ৪৮ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল।

২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও সশস্ত্র বাহিনীর ৫০ হাজার সদস্য নিয়োজিত ছিলেন  স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে।

বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেয়ার লক্ষ্যে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার আইনের অধীনে এর আগের দুই নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে নামানো হয়েছিল। এর আগে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অংশ হিসেবে নিয়োজিত করা হয়েছিল সশস্ত্র বাহিনীকে। তবে ২০০৯ সালে আইন সংশোধন করে সশস্ত্র বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞা থেকে আলাদা করা হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০