তরমুজ চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে অনেক কৃষক। আজকের আয়োজন এর বিভিন্ন দিক নিয়ে
তরমুজ একটি উৎকৃষ্ট ও তৃপ্তিদায়ক ফল। বলা যায়, গরমকালের উপকারী ফল তরমুজ। কেননা, গরমের দিনে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ ও পানি বেরিয়ে যায়, যা পূরণ করতে সাহায্য করে তরমুজ। তাই তরমুজের চাহিদাও বেশি। চাহিদা থাকার কারণে চাষিরাও তরমুজ চাষে বেশ আগ্রহী। এর চাষাবাদ নিয়ে কিছু কথা তুলে ধরা হলো
জলবায়ু ও মাটি
তরমুজ চাষের জন্য প্রচুর সূর্যালোক ও শুষ্ক জলবায়ু প্রয়োজন। ফলটি ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারে না। তরমুজ চাষের গড় তাপমাত্রা ২৫০ সেলসিয়াস ও ফল পাকার সময় ২৮০ থেকে ৩০০ সেলসিয়াস তাপমাত্রা সর্বাপেক্ষা উপযোগী। ফল পাকার সময় সূর্যালোকের অভাব হলে ফলের স্বাদ অর্থাৎ মিষ্টতা ও ঘ্রাণ নষ্ট হয়ে যায়। সহজে নিষ্কাশন করা যায় এমন সুবিধাযুক্ত জমি তরমুজ চাষের উপযোগী। তবে উর্বর দোআঁশ ও বেলে দোঁআশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য সবচেয়ে উত্তম।
চাষের কৌশল
শীতের শেষভাগ তরমুজ বপনের উত্তম সময়। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল চাষের জন্য উপযুক্ত। এ সময়ের আবহাওয়া তরমুজ চাষের অনুকূলে থাকে। মূলত মাদায় বীজ বপন করে চাষ করতে হয়। তবে এ পদ্ধতি প্রচলিত হলেও চারা তৈরি করে মাদাতে চারা রোপণ করা ভালো। কারণ, তরমুজের বীজ অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই বীজ বপনের ক্ষেত্রে অনেক বীজ অপচয় হয়। চারা রোপণ করা গেলে বীজের অপচয় কমানো যায়।
তরমুজ চাষের জমি উপযুক্ত করার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী চাষ ও মই দিয়ে নিতে হবে। চাষযোগ্য জমি তৈরি হয়ে গেলে মাদা তৈরি করে নিতে হবে। মাদাতে সার প্রয়োগের পর বীজ বপন অথবা চারা লাগানোর কাজ শুরু করা যেতে পারে। দুই মিটার দূরে দূরে সারি করে প্রতি সারিতে দুই মিটার অন্তর মাদা করতে হয়। প্রতি মাদা ৫০ সেন্টিমিটার প্রশস্ত ও গভীর হওয়া প্রয়োজন। বীজ বপনের ক্ষেত্রে প্রতি মাদায় চার থকে পাঁচটি বীজ বপন করতে হয়। বীজ থেকে চারা গজানোর পর একটি মাদায় দুটি করে চারা রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলতে হবে। চারা তৈরির ক্ষেত্রে ছোট পলিথিনের ব্যাগে বালি ও পচা গোবর সারভর্তি করে প্রতিটি পলিব্যাগে একটি করে বীজ বপন করতে হয়। পরে এক মাস বয়সের তিন-চার পাতাবিশিষ্ট চারা মাদায় রোপণ করতে হবে।
পরিচর্যা
চারাগুলো বড় হলে এর বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা বের হতে থাকে। সব শাখা রেখে দিলে সেগুলো পরস্পর জড়াজড়ি করে ফেলে, এতে ফলন হ্রাস পায়। খাদ্য উপাদানের ঘাটতি হয়, রোগ-বালাই ও পোকামাকড়ের উপদ্রব বৃদ্ধি পায়। ফুল ও ফল ধরার ক্ষেত্রে বাধা পায়। তাই গাছের চার থেকে পাঁচটি শাখা-প্রশাখা রেখে বাকিগুলো ছেঁটে ফেলতে হবে। এছাড়া প্রতি শাখায় একটি করে ফল রেখে অতিরিক্ত ফল ফেলে দিলে ভালো মানের ফল পাওয়া যাবে। তরমুজের গাছ খরা সহ্য করতে পারে। তবে শুকনো মৌসুমে অবশ্যই সেচ দেওয়া প্রয়োজন। খেয়াল রাখতে হবে, গাছের গোড়ায় যাতে পানি না জমে থাকে। তরমুজ যখন বড় হয়, তখন মাটির ওপর খড় বিছিয়ে দিতে হবে। কারণ, মাটি স্যাঁতসেঁতে থাকলে তরমুজ গোড়াপচা রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
ফসল ও বীজ সংগ্রহ
তরমুজ মূলত আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে পাকে। রোপণের তিন থেকে চার মাস পর ফসল সংগ্রহ করা যাবে। ফল পেকেছে কি না, তা বোঝা খুব কঠিন। তবে কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে অনুমান করা যায় যে, তরমুজ পেকেছে:
# ফল পাকলে বোঁটা শুকিয়ে বাদামি রঙ ধারণ করে
# পাকলে তরমুজের খোসার ওপরের সূক্ষ্ম লোম মরে যায় ও খোসা চকচকে দেখায়
# আঙুল দিয়ে টোকা দিলে যদি ড্যাব ড্যাব শব্দ করে, তাহলে বুঝতে হবে ফল পেকেছে।
ভালো বীজ সংগ্রহের জন্য ফসলের ক্ষেত থেকেই কয়েকটি ফল চিহ্নিত করে রাখতে হবে। এরপর বীজের জন্য পরিপক্ব ফল ক্ষেত থেকে তুলে ছায়াযুক্ত স্থানে কয়েক দিন রাখতে হবে। এ ফলগুলো লম্বালম্বিভাবে কেটে হাত দিয়ে বীজ তুলে পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। পানিতে ধোয়ার সময় যেসব বীজ পানিতে ভেসে উঠবে, সেগুলো ফেলে দিতে হবে। ধোয়া হয়ে গেলে একদিন ঠাণ্ডাযুক্ত স্থানে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর কড়া রোদে কয়েক দিন শুকিয়ে পলিব্যাগে ভরে ঠাণ্ডা স্থানে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
রোগ-বালাই ও দমন কাটুই পোকা
এ পোকা রাতেরবেলা চারা কেটে দেয়। সকালবেলা চারা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
কাটুই পোকা দমনের জন্য সকালে কেটে ফেলা চারার আশেপাশে মাটি খুঁড়ে পোকা বের করে মেরে ফেলতে হবে। কেরোসিন-মিশ্রিত পানি সেচ দিতে হবে। পাখি বসার জন্য জমিতে ডালপালা পুঁতে দিতে হবে, যাতে পাখিরা পোকা খেতে পারে। রাতে জমিতে মাঝেমধ্যে আবর্জনা জড়ো করে রাখলে সেগুলোর নিচে এসব পোকা এসে জমা হয়, সকালে সেগুলোকে মেরে ফেলতে হবে। আক্রান্ত জমিতে কীটনাশক পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকালে স্প্রে করতে হবে। দু’একটি চারা কাটতে দেখলে অবহেলা না করে দ্রুত পোকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। চারা লাগানোর পর নিয়মিত জমি পরিদর্শন করতে হবে।
গোড়া পচা
আক্রান্ত চারার গোড়ার চারদিকে পানিতে ভেজা দাগ দেখা যায়। ফলে শেকড় পচে যায়। চারা নেতিয়ে পড়ে গাছ মরে যায়। স্যাঁতসেঁতে মাটি ও মাটির উপরিভাগ শক্ত হলে এ রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। রোগটি মাটিবাহিত বিধায় মাটি ও পানির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে।
গোড়া পচা দমনের জন্য পরিমিত সেচ ও পর্যাপ্ত জৈবসার প্রয়োগ করতে হবে। পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা থাকতে হবে। সরষের খৈল জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। কৃষি দফতরের পরামর্শ অনুযায়ী ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করে মাটিসহ গাছ ভিজিয়ে দিতে হবে।
ডাউনি মিলডিউ
বয়স্ক পাতায় এ রোগ আক্রান্ত করে। আক্রান্ত পাতার গায়ে সাদা বা হলদে থেকে বাদামি রঙের দাগ দেখা যায়। ধীরে ধীরে অন্যান্য পাতায় ছড়িয়ে পড়ে।
ডাউনি মিলভিউ দমনের ক্ষেত্রে গাছের আক্রান্ত অংশ সংগ্রহ করে ধ্বংস করতে হবে। ক্ষেত পরিষ্কারসহ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ছত্রাকনাশক ওষুধ পানির সঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
গামি স্টেম ব্লাইট
এ রোগ হলে পাতায় পানি ভেজা দাগ দেখা যাবে। ব্যাপক আক্রমণে পাতা পচে যায়। ধীরে ধীরে কাণ্ড ফেটে লালচে আঠা বের হতে শুরু করে।
দমনের জন্য ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলতে হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।
ভাইরাস
ভাইরাসে আক্রান্ত হলে পাতা হলুদ ও সবুজের মিশ্রণের একটি রঙের সৃষ্টি হয়। গাছ বাড়ে না। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে ফুল ধরলেও ফল ধরে না। অনেক সময় ফল ধরলেও বড় হয় না।
আক্রান্ত গাছ হতে সুস্থ গাছে ভাইরাস ছড়ানোর জন্য বাহক প্রয়োজন। এ বাহক হিসেবে কাজ করে সাদা মাছি। এজন্য সংক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছ উঠিয়ে মাটিতে পুঁতে বা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। আর সাদা মাছি নিয়ন্ত্রণের জন্য অনুমোদিত কোনো বালাইনাশক ওষুধ স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। অনেক সময় মানুষও বাহক হতে পারে। এজন্য আক্রান্ত গাছ উঠানোর পর সুস্থ গাছে হাত দেওয়ার আগে হাত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
রেড পামকিন বিটল
পামকিন বিটলের পূর্ণবয়স্ক পোকা চারা গাছের পাতা ফুটো করে। পাতার কিনারা থেকে খাওয়া শুরু করে সম্পূর্ণ পাতা খেয়ে ফেলে। এ পোকা ফুল ও কচি ফলেও আক্রমণ করে।
চারা আক্রান্ত হলে হাত দিয়ে পূর্ণবয়স্ক পোকা ধরে মেরে ফেলতে হবে। কেরোসিন-মিশ্রিত ছাই গাছে ছিটিয়ে দিতে হবে। চারা বের হওয়ার পর থেকে প্রায় ২৫ দিন পর্যন্ত মশারির জাল দিয়ে চারাগুলো ঢেকে রাখতে পারলে এ পোকার আক্রমণ থেকে গাছ রক্ষা পাবে।
সুড়ঙ্গকারী পোকা
ক্ষদ্র কীট পাতার দু’পাশের সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। তাই পাতার ওপর আঁকাবাঁকা রেখার মতো দাগ পড়ে এবং পাতা শুকিয়ে ঝরে যায়।
আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংস করতে হবে বা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। আঠালো হলুদ ফাঁদ স্থাপন করা যেতে পারে। পানিতে কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
সাবধানতা
একই জমিতে বারবার তরমুজ চাষ করা যাবে না। দিনের বেশিরভাগ সময় ছায়া পড়ে এমন জমিতে তরমুজ ফসল চাষ করবেন না। স্প্রে করার ১৫ দিনের মধ্যে সেই ফল খাওয়া বা বিক্রি করা যাবে না। রোগ প্রতিরোধী জাত বাছাই করে চাষ করা উচিত।
তরমুজে স্বাস্থ্য উপকারিতা
লাইকোপিনে ভরপুর: অনেক ফল বা সবজির রঙ লাল করে লাইকোপিন, এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের প্রতিবন্ধক হিসেবে এটি কাজ করে সুস্থ জীবনধারা উপহার দেয়। অন্যান্য ফল বা সবজি, এমনকি টমেটোর তুলনায়ও তরমুজে বেশি লাইকোপিন রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা তাই হলুদ কিংবা কমলা রঙের পরিবর্তে লাল তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাদের মতে, তরমজু যত বেশি পাকা হবে, ততই ভালো। উপরন্তু বিচিবিহীন তরমুজে বেশি লাইকোপিন থাকে
সুস্থ রাখে হৃৎপিণ্ড: তরমুজে সাইট্র–লিন নামে এক ধরনের অ্যামিনো এসিড রয়েছে, যা মানবদেহের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে এবং উচ্চরক্তচাপ কমায়। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। তবে সামগ্রিক জীবনচর্চার প্রভাব রয়েছে হৃৎযন্ত্রের ওপর। তাই সচল থাকুন, ধূমপান থেকে বিরত থাকুন, চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন ও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন
জয়েন্ট সুরক্ষিত করে: তরমুজে প্রাকৃতিক রঞ্জক বেটা-ক্রিপ্টোজ্যান্থিন রয়েছে, যা জয়েন্টের প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, রিউমেটিক আর্থ্রাইটিস কমাতেও কার্যকর তরমুজ
দৃষ্টি ভালো রাখে: একদিনে একজন সুস্থ মানুষের যে পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’ দরকার, তার ৩০ শতাংশ বেশি পূরণ করে এক টুকরো তরমুজ। চোখ সুস্থ রাখে এ ফল
প্রাকৃতিক হাইড্রেশন: তরমুজের ৯২ শতাংশই পানি। অর্থাৎ দেহকে হাইড্রেট রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। মানবদেহের প্রতিটি কোষে প্রয়োজন পানি। এর অভাব পূরণ করতে তরমুজ খেতে পারেন
ত্বক রাখে মনের মতো: তরমুজের ভিটামিন ‘এ’, ‘বি৬’ ও ‘সি’ চামড়া রাখে নরম, মসৃণ ও কোমল। তরমুজ দিয়ে ফেস মাস্কও তৈরি করা যায়। এক টেবিল চা চামচ তরমুজের রস ও সমপরিমাণ দইয়ের মিশ্রণ শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ চামড়ায় ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন, মোলায়েম হবে চামড়া
ডেজার্ট হিসেবেও চমৎকার: ডেজার্টে রাখতে পারেন তরমুজ। এতে নেই কোনো চর্বি; কোলেস্টেরলের পরিমাণ খুবই কম ও কোনো সোডিয়াম নেই
বিচিও উপকারী: ছোটবেলায় হয়তো শুনে থাকবেন তরমুজের বিচি গিলে ফেলেছে, পেটে গাছ জন্মাবে! আসলে সূর্যের আলো পৌঁছায় না পেটে, মাটি নেই সেখানে বরং গ্যাসট্রিক-এসিড রয়েছে। এর কোনোটিই গাছ জন্মানোর অনুকূলে নয়। আজকাল অনেক তরমুজে বিচি খুঁজে পাওয়া যায় না। তবুও বিচি পেটে গেলে সমস্যা নেই, এগুলো পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ।
জাত পরিচিতি
বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের তরমুজ চাষ করা হয়ে থাকে। দেশীয় জাতের তরমুজের মধ্যে রয়েছে গোলালন্দ ও পতেঙ্গা জাতের তরমুজ। বিদেশি জাতের মধ্যে রয়েছে টপইল্ড, সুগার ডেলিকাটা, গ্লারি, চার্লস ও স্টোন গ্রে। হাইব্রিড জাতের মধ্যে রয়েছে জাগুয়ার, আলিবাবা, গ্রিন ড্রাগন, পতেঙ্গা জায়েন্ড, মিলন মধুর, ওয়ার্ল্ড কুইন, বিগ টপ, চ্যাম্পিয়ন, অমৃত, সুগার এম্পায়ার, সুইট বেবি, ফিল্ডমাস্টার, সুগার বেলে, ক্রিমসন সুইট, ক্রিমসন গ্লারি, মোহিনী, আমরুদ, ভিক্টর সুপার, ওশান সুগার, আসাই ইয়ামাভো, আধারি, পুষা বেদানা, পাটনাগরা, মুধ এফওয়ান প্রভৃতি। দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় জাত হচ্ছে সুগার বেবি। জাতটি বারো মাসই উৎপাদন করা যায়।
কয়েকটি জাতের পরিচিতি
ভিক্টর সুপার: এ জাতের তরমুজ সাধারণত লম্বা আকৃতির। এটি মূলত হাইব্রিড জাত হিসেবে পরিচিত। এ জাতের তরমুজের চামড়ার রঙ হালকা সবুজ ও ভেতরের শাঁস টকটকে লাল হয়ে থাকে। খেতে সুস্বাদু ও মিষ্টি
গ্রিন ড্রাগন: এ জাতের তরমুজ আয়তাকার আকৃতির হয়ে থাকে। এটিও হাইব্রিড জাতের। এ জাতের তরমুজ ভিক্টর সুপার জাতের তুলনায় কম মিষ্টি। এর শাঁসও টকটকে লাল
বঙ্গ লিংক: বঙ্গ লিংক জাতটি আয়তাকার ও সবুজাভ রেখাসহ হালকা সবুজ। এ জাতটিও খেতে মিষ্টি লাগে
সুগার এম্পায়ার: জাতটি আয়তাকার। আকারে মাঝারি ধরনের। এ জাতের তরমুজ শুধু মাংসল অংশ লাল। অনেকদিন সংরক্ষণ করা যায়। তাই দূরবর্তী অঞ্চলে পাঠাতে কোনো অসুবিধা হয় না
ওশান সুগার: এ জাতের ফল হালকা সবুজ। এটি দ্রুত বড় হয় ও পেকে যায়। ফল অত্যন্ত মিষ্টি ও সুস্বাদু হয়ে থাকে।
রতন কুমার দাস