স্বাধীনতা ঘিরে বাংলার মানুষের মনে ছিল নানা স্বপ্ন। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, সেই স্বপ্নের কাছাকাছি কী আমরা পৌঁছাতে পেরেছি? এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা মতভেদ রয়েছে। স্বাধীনতার পর আমরা আসলে কী পেয়েছি আর কী পাইনি, এ নিয়ে ঢাকার সাভার উপজেলার গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা বিভাগের একদল তরুণ শিক্ষার্থী সেদিন ক্লাসের ফাঁকে আলোচনায় মেতেছিলেন।
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী
বোরহানুল কবির তোহা বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবিধাগুলো আমরা ঠিকই উপভোগ করছি। তবে স্বাধীনতার মূলনীতি ধরে রাখা প্রয়োজন’।
একই বিভাগের শিক্ষার্থী তনুজা চক্রবর্তী জানান, ‘আমি মনে করি আমরা সঠিক জায়গাতেই আছি। আমরা যদি নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি, তাহলে স্বাধীনতার মূল সৌন্দর্যে সাজাতে পারব আমাদের দেশ’।
ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী পিউ রায় চৌধুরী বলেন, ‘স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ে আমি ছিলাম না। ইতিহাস থেকে যা জেনেছি তার ভিত্তিতে বলতে পারি, আমরা তখনকার চেয়ে এখন অনেক ভালো আছি’।
একই বিভাগের শিক্ষার্থী জ্যাক হ্যারিসন জানান, ‘আসলে স্বাধীনতার পর আমরা কিছুই পাইনি এই যুক্তির পক্ষে আমি নই। সব কিছুর মধ্যেই কিছু না কিছু অসঙ্গতি থাকবে। পৃথিবীর কোনো কিছুই শতভাগ সফল হয় না। আর আমাদের স্বাধীনতা তো একটা বিশাল ব্যাপার। আমি মনে করি আমরা উন্নতির পথে এগোচ্ছি’।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মেহবিন আক্তার মুসফিকা বলেন, ‘যখন দেখি ছাত্ররা অধ্যয়নের সঠিক পরিবেশ পাচ্ছে না, তখন আমি কিছুতেই ভাবতে পারি না আমরা কি সত্যিকারের স্বাধীনতা পেয়েছি? নামে আমরা স্বাধীন হলেও স্বাধীনতার সুফল অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছি’।
লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান খান রনি বলেন, ‘মার্চের দিনগুলোতে আমাদের অনেক অর্জন আছে, তার মধ্যে অন্যতম বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ ও ২৬ মার্চে স্বাধীনতার ঘোষণা। এরপর লাখো প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে আমাদের এ দেশ। তাই স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে’।
সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ মিস্ত্রি জানান, ‘স্বাধীনতার ৪৬ বছর পেরিয়ে গেছে। তারপরও হয়তো সত্যিকারের স্বাধীনতার স্বাদ পেতে আমাদের আরও অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে যে যা-ই বলুক না কেন, সবার প্রত্যাশার জায়গা একটাই। একটি সোনার বাংলাদেশ’।
মুন্নি আক্তার, শিক্ষার্থী
Add Comment