নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল টপটেন গেইনার বা দর বাড়ার শীর্ষে উঠে এসেছে তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ওই দিন শেয়ারদর বেড়েছে ১০ শতাংশ বা দুই টাকা ৩০ পয়সা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল কোম্পানিটির ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮২টি শেয়ার মোট ৮৩০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ছয় কোটি ৩৩ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। ওই দিন প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৫ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৫ টাকা ৩০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৩ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১৬ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৩০ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৩২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩৩ টাকা ৩৭ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে আট কোটি ৩৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১৯ দশমিক ১৭ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ৩৭ দশমিক ২১। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৩ কোটি ১৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১০৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট ছয় কোটি ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৫২০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৫৫ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ২২ দশমিক ৫৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২২ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার।
প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ২২ পয়সা, যা এর আগের বছরের একই সময় ৩১ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরে ইপিএস কমেছে ৯ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে এক কোটি ৩৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দুই প্রান্তিকে বা ছয় মাসে ইপিএস হয়েছে ৬২ পয়সা এবং মুনাফা করেছে তিন কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, যা তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১১ পয়সা এবং কর-পরবর্তী লোকসান করেছে ৬৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
