নিজস্ব প্রতিবেদক: এবার বন্ড ইস্যু করে স্থানীয় বাজার থেকে টাকায় তহবিল সংগ্রহের অনুমতি পেল দেশে কার্যরত বিদেশি ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলো। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমতি সাপেক্ষে তারা এ বন্ড ইস্যু করতে পারবে। দেশের যে কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবে।
গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, যা বৈদেশিক লেনদেনে নিয়োজিত সব অথরাইজড ডিলার ব্যাংকগুলো বরাবর পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে দেশের ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর বিদেশি কোম্পানির নির্ভরশীলতা কমাতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ২৩ মার্চ বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে টাকায় চলতি মূলধন সংগ্রহে (তহবিল) কমার্শিয়াল পেপার ইস্যুর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদ্যমান গাইডলাইন অনুযায়ী তারা এ কমার্শিয়াল পেপার ইস্যু করতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যমান বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন ব্যবস্থায় বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান স্থানীয় পর্যায়ে অর্থায়নের ক্ষেত্রে দেশের ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। কারণ ব্যাংক ভিন্ন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এসব প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদানের জন্য প্রাধিকারপ্রাপ্ত নয়। বিদ্যমান বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৪৭ এর ১৮(২) ধারায় বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে স্থানীয় মুদ্রায় (টাকায়) চলতি মূলধন ঋণ সুবিধা প্রদানের সাধারণ প্রাধিকার দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোর অনুকূলে দেওয়া আছে। তবে বর্তমানে তারা দেশের ব্যাংকব্যবস্থা থেকে স্বল্প সময়ের জন্য চলতি মূলধন ঋণের পাশাপাশি শর্তসাপেক্ষে মেয়াদি ঋণও নিতে পারে।
২০১৪ সালের মার্চে বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনে দেশের উৎপাদন ও সেবা খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে মেয়াদি ঋণ নেওয়ার সুযোগ করে দেয়। ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, যেসব বিদেশি প্রতিষ্ঠান তিন বছরের অধিক সময় ধরে বাংলাদেশে কার্যক্রম চালাচ্ছে তারাই এ ঋণ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।