শেয়ার বিজ ডেস্ক:তাইওয়ানে অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির কাছে ১০ কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম ও পরিষেবা বিক্রিতে অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী এক মাসের মধ্যে তাইওয়ানকে এসব অস্ত্র বুঝিয়ে দেয়া হবে। খবর: রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ) এই অস্ত্র বিক্রি প্রসঙ্গে বলেছে, অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ওয়াশিংটনে তাইওয়ানের ‘ডি-ফ্যাক্টো’ দূতাবাসের অনুরোধে।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর জানায়, এর মাধ্যমে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবে তাইওয়ান। এর মাধ্যমে প্রতিরক্ষাব্যবস্থার আধুনিকীকরণ ও তাইওয়ানের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। পাশাপাশি ওই অঞ্চলের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামরিক ভারসাম্য এবং অর্থনৈতিক ও সামগ্রিক অগ্রগতি বজায় রাখতেই সে দেশকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে।
ডিএসসিএ বলছে, তাইওয়ানে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর তারা কংগ্রেসকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় সনদ দেবে। প্রস্তাবিত এই সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণ করবে। তাছাড়া একটি বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরক্ষা সক্ষমতা গড়ে তুলতে তারা যে দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, তাতে সহযোগিতার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার স্বার্থে কাজ করবে। তাইওয়ানে এসব সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রে প্রধান ঠিকাদার হবে যুক্তরাষ্ট্রের দুই কোম্পানি রেথিয়ন টেকনোলজিস ও লকহিড মার্টিন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সামরিক সরঞ্জাম ও পরিষেবা বিক্রির অনুমোদন দেয়ার এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে তারা খুশি। চীনের লাগাতার সামরিক মহড়া ও অস্ত্রভাণ্ডার শক্তিশালী করার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সময়োপযোগী।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাইওয়ানের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে তাইওয়ানকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করার বিষয়ে আলোচনা হয়।