শেয়ার বিজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রকে তাইওয়ান নিয়ে হুশিয়ারি দিল চীন। ওয়াশিংটনকে উদ্দেশ করে বেইজিং বলেছে, তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করলে চরম মূল্য দিতে হবে। খবর: ভয়েস অব আমেরিকা।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ মাইক অ্যাডমিরাল মুরেলের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এক
প্রধিনিধিদল তাইওয়ান যান। প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ ইউ। প্রতিনিধিদলের তাইওয়ান যাওয়ার খবর দিয়েছে সে দেশের প্রচারমাধ্যম। আর সেই খবর চোখে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কড়া ভাষায় চীন এই সফরের বিরুদ্ধে সরব হয়।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে। ওই ঘোষণার পর বেইজিং প্রতিবাদ জানায়। চীন মনে করে ও দাবি করে তাইওয়ান তাদের অংশ। যদিও তাদের এই দাবিকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো সমর্থন করে না। তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল পৌঁছানোর পর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন ডাকে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, চীন যেকোনো মূল্যে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সফর কোনোভাবে সমর্থন করা যাচ্ছে না।
গত বছর চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ১০০ বছর উদ্যাপন করে। তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে উঠেছে চীন। যারা চীনের সঙ্গে লাগার চেষ্টা করবে, তাদের মাথা ভেঙে দেয়া হবে। একই সঙ্গে তাইওয়ান প্রসঙ্গে স্পষ্ট অভিমত জানিয়েছেন শি। তিনি বলেন, তাইওয়ান চীনের অংশ। মূল চীন থেকে তাকে যদি কেউ আলাদা করতে চায়, তাহলে শাস্তি পেতে হবে। গ্রেট ওয়াল অব স্টিলে মাথা থেঁতলে দেয়া হবে। প্রেসিডেন্টের কথা শুনে উচ্ছ্বসিত হন সাধারণ মানুষ। হাততালি দিয়ে তারা স্বাগত জানিয়েছেন শি জিনপিংয়ের কথা।
তাইওয়ান ও হংকং নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। প্রতিবাদীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কড়া আইন চালু হয়েছে দুই জায়গায়।