শেয়ার বিজ ডেস্ক: তাইওয়ান প্রণালি অতিক্রম করেছে মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ। তাইপের সঙ্গে বেইজিংয়ের তীব্র উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যেই গত মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটল। খবর: রয়টার্স।
মার্কিন বাহিনীর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন যুদ্ধজাহাজসহ কানাডার একটি ফ্রিগেটও এদিন তাইওয়ান প্রণালি অতিক্রম করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সামরিক বাহিনী। কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী অনিতা আনন্দ বলেছেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রাষ্ট্র হিসেবে তার দেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমেরিকান নেভির সেভেন্থ ফ্লিট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার তাইওয়ান প্রণালি হয়ে যাত্রা করে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি ডেস্ট্রয়ার ‘ইউএএস হিগিনস’ ও কানাডার নৌবাহিনীর একটি ফ্রিগেট ‘এইএমসিএস ভ্যাঙ্কুভার’। মূল চিনা ভূখণ্ড ও স্বশাসিত তাইওয়ানকে ভাগ করেছে এই তাইওয়ান প্রণালি।
এদিকে তাইওয়ান প্রণালিতে অনুপ্রবেশের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বেইজিং। কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, তাদের সামরিক বাহিনী মার্কিন ও কানাডিয়ান জাহাজগুলোকে সতর্ক করেছিল।
দেশটির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের মুখপাত্র কর্নেল শি ওয়াই বলেন, পুরো বিষয়টি আসলে লোক দেখানো। দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা অক্ষুণœ রাখতে আমাদের সেনাবাহিনী সবসময় সজাগ ও তৎপর রয়েছে। উল্লেখ্য, শুধু আমেরিকা নয়, এর আগে চীনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তাইওয়ান প্রণালি দিয়ে যাতায়াত করে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়াসহ একাধিক দেশের যুদ্ধজাহাজ। এসব ঘটনা বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করেছে। কেননা তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ মনে করে চীন।
গত জুলাইয়ে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকে আগ্রাসী হয়ে উঠেছে চীন। দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ঘিরে সামরিক মহড়া চালিয়েছে দেশটির সেনারা। গত মাসে তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণাধীন একাধিক ক্ষুদ্র দ্বীপে হানা দিয়েছে চীনা ড্রোন। তারপর দ্বীপরাষ্ট্রটিকে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র দেয়ার কথা ঘোষণা করে ওয়াশিংটন। এর মধ্যে রয়েছে ৬০টি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও ১০০টি আকাশ থেকে আকাশে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র। এ ঘোষণার মধ্য দিয়েও চীনকে সতর্ক করেছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাইপে আক্রান্ত হলে পাশে থাকবে আমেরিকা।