ক্রীড়া ডেস্ক: লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের জয়ের নায়ক তারা। কিন্তু আয়ারল্যান্ড সিরিজ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) ছেড়ে যেতে হয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মুশফিকুর রহিমের। এরপর থেকেই তাদের অভাবটা বেশ ভালোমতোই টের পাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের দলটি। গতকাল লো স্কোরিং ম্যাচে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৫১ রানে হেরেছে মোশাররফ হোসেনের দল। ১০ ওভারে ২২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে রূপগঞ্জের ব্যাটিং লাইনআপকে দুমড়ে-মুচড়ে দেন তাইজুল। অন্য দুই ম্যাচে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রকে ৬ উইকেটে আবাহনী ও প্রাইম দোলেশ্বরকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক।
গতকাল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের তিনটি ম্যাচই হয়েছে লো স্কোরিং। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে আগে মোহামেডানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে মাত্র ১৩৫ রানে গুটিয়ে দেয় রূপগঞ্জ। এরপর অনেকেই হয়তো ধরেই নিয়েছিলেন, সহজ লক্ষ্যটা অনায়াসেই টপকে যাবে নায়ারণগঞ্জের দলটি। কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি এ স্পিনারের ঘূর্ণিতে শুরু থেকেই খাবি খেতে থাকে রূপগঞ্জের দলটি। ৫৩ রানের মধ্যেই প্রথম সারির ৬ ব্যাটসম্যানকে একাই সাজঘরে পাঠান তিনি। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৮৩ রানেই অলআউট। তাতে মোহামেডানের জয় ৫১ রানে।
আগের ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়া তাইজুলকে গতকাল দ্বিতীয় ওভারেই আক্রমণে আনেন মোহামেডান অধিনায়ক রকিবুল হাসান। রূপগঞ্জের উল্টো পথে যাওয়াটাও তখন থেকেই শুরু। এ বাঁহাতি প্রথম ওভারের শুরুতেই প্রতিপক্ষ ওপেনার সায়েম আলমকে বোল্ড করেন। এরপর একে একে সাজঘরে ফিরিয়েছেন হাসানুজ্জামান, ইয়াসির আলি, সাক্সেনা, হামিদুল ইসলাম ও নাঈম ইসলামকে। এর সঙ্গে ‘লিস্ট এ’ ক্রিকেটে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট নেন তাইজুল। ম্যাচসেরাও হন তিনি।
রূপগঞ্জের শেষদিকের ব্যাটসম্যানদের দ্রুতই সাজঘরে ফেরান সাজেদুল ইসলাম ও কামরুল ইসলাম রাব্বি। এর আগে মোহামেডানের প্রথম ৯ ব্যাটসম্যানের সাতজনই পৌঁছান দুই অঙ্কে। তাদের কেউই পারেননি নিজের ইনিংস খুব একটা বড় করতে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন অধিনায়ক রকিবুল হাসান। ১৯ রানে ৪ উইকেট নেন আসিফ হাসান।
এদিকে বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুভাগত হোমের বোলিংতোপে মাত্র ১৫৬ রানে অলআউট কলাবাগান ক্রীড়াচক্র। শুভাগত ১৯ রানে নেন ৪ উইকেট। জবাবে সাইফ হাসানের ৬১ রানে ভর করে ১৯.৪ ওভার হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে আবাহনী লিমিটেড। দিনের অন্য ম্যাচে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে প্রাইম দোলেশ্বরের বোলিং তোপে মাত্র ১৮০ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। জবাবে শাহরিয়ার নাফীসের ৭৮ ও মার্শাল আইয়ুবের ৬২ রানে ভর করে ৪৫.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় প্রাইম দোলেশ্বর।
Add Comment