নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কার্যকর তামাক কর ও মূল্য বৃদ্ধির পদক্ষেপ চরমভাবে উপেক্ষিত হয়েছে উল্লেখ করে এ সংক্রান্ত বাজেট পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা। গতকল সোমবার প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায় সংস্থাটি।
ইপসার উপপরিচালক নাছিম বানু স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে সুযোগ থাকার পর তামাকপণ্যের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার পরিবর্তে বরং তামাক কোম্পানিগুলোকেই লাভবান করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে সরকার অতিরিক্ত প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি তিন কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক তামাক ব্যবহারকারী ও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার চার কোটি ১০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নজিরবিহীন স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়বে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ তামাককে করোনা সংক্রমণ সহায়ক হিসেবে চিহ্নিত করে এর ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য জোর তাগিদ দিয়ে আসছে। এছাড়া দীর্ঘদিন থেকে ইপসাসহ দেশের তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো কার্যকর তামাক করনীতি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করে আসছে। অথচ প্রস্তাবিত বাজেটে এসবের কোনো প্রতিফলন নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিগারেটের বাজারে চারটি মূল্য স্তরের মধ্যে প্রায় ৭২ শতাংশই নি¤œস্তরের সিগারেটের দখলে। এ স্তরে সম্পূরক শুল্ক ধার্য করা হয়েছে ৫৭ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৫৫ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেট কার্যকর হলে এ স্তরের সিগারেটের প্রকৃত মূল্য হ্রাস পাবে এবং তার ব্যবহার বাড়বে। আর প্রকৃতপক্ষে তামাক কোম্পানিগুলোই লাভবান হবে। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে মধ্যম স্তরে সিগারেটের দাম বাড়ানো হয়নি। উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরের দাম বাড়ালেও তিনটি মূল্যস্তরে বর্তমান ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বহাল রাখা হয়েছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির তুলনায় দাম বৃদ্ধি কম হওয়ায় সিগারেটের প্রকৃত মূল্য হ্রাস পাবে।