নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ২০৪০ সালের আগে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন করা হচ্ছে। শিগগিরই আইনটি পাসের জন্য সংসদে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।
গতকাল রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবে মিল্লাতের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। রোববারের প্রশ্ন-উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের আগেই বাংলাদেশ থেকে তামাক নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এবং ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন আয়োজিত দক্ষিণ এশীয় স্পিকার সম্মেলনে তিনি যুগান্তকারী এ ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আলোকে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা
দেয়ার সময় কয়েকটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসির আলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন অন্যতম।
মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি ই-সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য ১৫৩ সংসদ সদস্যের সুপারিশ বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিদ্যমান আইন সংশোধনীতে ই-সিগারেটসহ ইমার্জিং তামাক পণ্য নিষিদ্ধ করে প্রস্তাব যুক্ত করেছে। সুনির্দিষ্টভাবে ১৫৩ সংসদ সদস্যের সুপারিশের আলোকে এ খসড়া আইনে ‘ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, ইমার্জিং টোব্যাকো প্রডাক্টস ইত্যাদি নিষিদ্ধ’ বিষয়ক একটি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। নতুন এ ধারার মাধ্যমে ই-সিগারেটসহ সকল প্রকার ইমার্জিং তামাক পণ্য আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।
দেশে এইচআইভি
রোগী ৯৭০৮ জন
একই দিন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য বেগম লুৎফুন নেসা খানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে শনাক্ত হওয়া এইচআইভি রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ৭০৮ এবং এখন পর্যন্ত এইচআইভিতে মৃত্যুবরণ করেছেন এক হাজার ৮৯০ জন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ১১টি সরকারি হাসপাতাল থেকে এইচআইভি রোগীদের বিনা মূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। ২৩টি সরকারি হাসপাতালে বিনা মূল্যে এইচআইভি পরীক্ষা করা হচ্ছে। আটটি এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে ড্রাগ ইউজারদের বিনা মূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হয়। সরকারি ও বেসরকারি মিলে ১৩৪টি ড্রপ-ইন-সেন্টার থেকে ঝুঁঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি প্রতিরোধমূলক সেবা দেয়া হচ্ছে।