‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মানে না রাজধানীর ৯৪% হাসপাতাল’

নিজস্ব প্রতিবেদক: তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুসারে দেশের হাসপাতালগুলো সম্পূর্ণ তামাকমুক্ত হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, রাজধানীর ৯৪ শতাংশ স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মানা হয় না। মাত্র ছয় শতাংশ স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র এ আইন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সেমিনারে এ গবেষণা প্রতিবেদন ফল তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির অ্যান্টি-টোব্যাকো প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম অফিসার ডা. আহমাদ খায়রুল আবরার।

গবেষণাপত্রের বরাত দিয়ে ডা. আহমাদ খায়রুল আবরার বলেন, ‘জরিপে দেখা গেছে, রাজধানীর ৮০ শতাংশ সরকারি হাসপাতালের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকপণ্য বিক্রি হয়। এমনকি ১৮ শতাংশ হাসপাতালের সীমানার মধ্যেই এমন দোকান রয়েছে। জরিপে ঢাকার ৭১ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে ধূমপান হয়, এমন প্রমাণ হিসেবে সিগারেটের বাট, ধোঁয়ার গন্ধ পাওয়া গেছে। এছাড়া এক-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে কাউকে না কাউকে সরাসরি ধূমপান করতে দেখা গেছে। একই পরিস্থিতি ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও।’

ডা. আহমাদ খায়রুল আবরার বলেন বলেন, ‘ঢাকার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারের প্রমাণ হিসেবে পানের পিক, চুনের দাগ দেখা গেছে। আর সরাসরি ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করতে দেখা গেছে ৪৫ শতাংশ হাসপাতালে।’ তিনি বলেন, ‘হাসপাতালগুলোতে  রোগী ও দর্শনার্থীদের তামাক ছাড়ার ব্যাপারে সহায়তা দিতে তামাক নিবৃত্তকরণ ক্লিনিক থাকা জরুরি। কিন্তু রাজধানীর মাত্র দুই শতাংশ হাসপাতালে এ সুবিধা রয়েছে।’

সেমিনারে উš§ুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের মধ্যে মধ্যে সিগারেট, বিড়ির মতো ধোঁয়াযুক্ত পণ্যগুলো শুধু সেবনকারীর স্বাস্থ্যেরই মারাত্মক ক্ষতি করে না, বরং আশেপাশের মানুষেরও সমান ক্ষতি করে।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুল মালিক, বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ প্রমুখ।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০