তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনসহ সহায়ক নীতিসমূহ চুড়ান্ত করা জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলেও তামাক কোম্পানিগুলোর হস্তক্ষেপ আইন বাস্তবায়ন ও সহায়ক নীতিমালা প্রণয়নে বাধা সৃষ্টি করছে। সামগ্রিক তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে তাদের এই হস্তক্ষেপের চিত্র দৃশ্যমান।

তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ থেকে নীতি সুরক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে সোমবার (২৪ জুলাই) ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা) এর যৌথ উদ্যোগে ধানমন্ডি আবাহনী মাঠের সম্মুখে “তামাক কোম্পানির প্রভাব প্রতিহত করতে আইন ও নীতিসমূহ দ্রুত চূড়ান্ত করা হোক” শীর্ষক একটি অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয় ।

উক্ত অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, তামাকের স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে কোম্পানিগুলো জনগণ, গণমাধ্যম ও সরকারের নীতিনির্ধারনী পর্যায়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। গবেষণায় দেখা গেছে সমাজের সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে তামাক সেবনের (ধূমপান) প্রবণতা কমিয়ে আনতে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা কার্যকর। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তারা কেবল তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রি বাড়ায় না বরং অন্যান্য ভোগ্য পণ্যের মতো একটি সাধারণ পণ্য হিসাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে। যা কেবল ক্ষতিকর এ পণ্যের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতাই বাড়ায় না বরং তামাক ব্যবহারের ক্ষতি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার পদক্ষেপকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।

বক্তারা আরো বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরো শক্তিশালী করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংশোধনের যে খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে তার পক্ষে মতামত দিয়েছে দেড় শতাধিক সংসদ সদস্য ও ১৬ হাজার সাধারন মানুষ। কিন্তু সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রচেষ্টায়ও নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে তামাক কোম্পানি। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন পয়েন্ট অফ সেলে আইন অমান্য করে বিজ্ঞাপন দিয়ে যাচ্ছে তারা।

কর্মসূচি থেকে নীতি সুরক্ষায় এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ অনুযায়ী প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে নিজস্ব আচরণ বিধি প্রণয়নের দাবী জানানো হয় । তামাকের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি থেকে সুরক্ষায় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন পাশ করাসহ অন্যান্য সহায়ক নীতি চুড়ান্ত করার দাবী জানান।

অবস্থান কর্মসূচিতে আরো অংশ নেন নাটাব, শূচীতা, শিশুদের মুক্ত বায়ু সেবন সংস্থা, কসমস, ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম, এক্টিভেট সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, শীল্ড, কেরানীগঞ্জ হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, অপ্সরি ওয়েম্যান ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, দিশারি মহিলা কল্যাণ সমিতি , শিউলী মহিলা উন্নয়ন সংস্থা এর কর্মকর্তাসহ ইনস্টিটিউট অফ ওয়েলবিং এবং ডাব্লিউবিবি এর অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০