ক্রীড়া ডেস্ক: অ্যাসেক্সের হয়ে খেলতে ইংল্যান্ড গিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ক্লাবটির হয়ে মাত্র এক ম্যাচ মাঠে নেমেই দেশে ফিরেছেন তিনি। এরপর থেকেই দেশের গণমাধ্যম বেশ সরগরম। ঠিক কি কারণে ফিরলেন টাইগার ওপেনার মূলত এ নিয়েই চলছে ক্রিকেট অঙ্গনে তর্কবিতর্ক। ব্যাপারটা অবশ্য ভাবাচ্ছে ইংলিশ গণমাধ্যমকেও। যদিও বাংলাদেশ দলের ড্যাশিং ওপেনারের ফেসবুক ও টুইটার বার্তার পর বিসিবি কর্মকর্তার দেওয়া বিবৃতিতে ‘হেট ক্রাইমের’ বর্ণনায় দ্বিধাগ্রস্ত তারাও। তবে কেন সে দেশের মিডিয়া ব্যাপারটি নিয়ে কাজ করছে না, এ নিয়ে ইংলিশ পাঠকদের মধ্যেই দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। তারা বলছেন, যদি কোনো ইংলিশ ক্রিকেটার বাংলাদেশ থেকে এভাবে ফিরে যেতেন, তখন কী হতো? আসলে ঘটনাটি কি, ইংলিশ মিডিয়াকে খতিয়ে দেখতে বলছে তারা।
এর আগে গত সোমবার ইস্ট লন্ডনের স্ট্রাটফোর্ডে কিছু শ্বেতাঙ্গ তরুণের বর্ণবাদী আচরণের শিকার হন তামিমের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা। ব্যাপারটি এসেক্সকে জানিয়ে পরদিনই সপরিবারে দেশের উদ্দেশে লন্ডন ছাড়েন তামিম। অবশ্য ইংলিশ ক্লাবটি টাইগার ওপেনারের দল ছাড়ার ব্যাপারটিকে বলছেন ‘ব্যক্তিগত কারণে’। এদিকে দুই পক্ষের সম্মতিতেই অনেকটাই চুপ তামিমও। কিন্তু বিসিবির সূত্রে ঘটনাটি প্রকাশ পেয়ে যায়। কলকাতার এজেন্টের বরাত দিয়েও সেখানকার একটি দৈনিক বিষয়টি জানিয়ে দেয়। একদিকে তামিম বলছেন কিছুই হয়নি। আবার বিসিবি সূত্র বলছে, ‘হেট ক্রাইম’ করা হয়েছে তামিমের পরিবারের সঙ্গে। এমন মন্তব্যে ইংলিশ মিডিয়াও হয়ে পড়েছে বিভ্রান্ত। দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে একজন নিরপেক্ষ দর্শকের দৃষ্টিতে। ‘চাপে পড়েই তামিম ইকবাল তার পরিবারের ওপর হামলার ঘটনা স্বীকার করছেন না’।
এদিকে বিবিসির সূত্র ধরে টেলিগ্রাফ বলছে, তামিমের স্ত্রী বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন। তবে এসিড নিক্ষেপের যে অভিযোগ উঠেছিল, সেটা সত্য নয়। টেলিগ্রাফের সঙ্গে তামিমের ফেসবুক স্ট্যাটাস যোগ করে দিয়েছে। ডেইলি মেইলও তামিমের ফেসবুক স্ট্যাটাসের কথা উল্লেখ করেছে। তবে এ রিপোর্টে তারা ইঙ্গিত দিয়েছে, তামিমের সঙ্গে নিশ্চয়ই কোনো ঘটনা ঘটেছে বলেই এক ম্যাচ খেলেই ফিরেছেন বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান।
ডেইলি মেইল আরও বলছে, ঘটনাটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে না এসেক্স ও তামিম। যে কারণে তারা পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগও করেননি। ঘটনা যা-ই হোক, লন্ডনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ব্যাপারটিকে বড় ধাক্কাই বলছে মেইল।
ব্রিটিশ পত্রিকার লেখার নিচে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাঠকরা। ঘটনাটিকে বেশিরভাগ পাঠকই নিচ্ছেন গুরুত্বের সঙ্গে। কেননা ইংল্যান্ডে সাম্প্রতিক সময়ে ‘হেট ক্রাইম’ বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। সেটাই হয়তো হয়েছে তামিম ও তার পরিবারের সঙ্গে। এজন্য টাইগার ওপেনারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে আবার ইংল্যান্ডে ফেরার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অনেকে।
Add Comment