নিজস্ব প্রতিবেদক: তারল্য সংকট মেটানোর জন্য ৩০ একর জমি ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইটি খাতের কোম্পানি ইনটেক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি বর্তমানে তারল্য সংকটে রয়েছে। আর এ সংকট মেটানোর জন্য ময়সনসিংহের তারাকান্দাতে কোম্পানিটির ৩০ একর অব্যবহƒত জমি ইজারা দেবে। বিশ্বাস এগ্রো ফিশারিজ লিমিটেডের কাছে এই জমি ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। বছরে প্রতি একর জমি বাবদ ৭০ হাজার টাকা পাবে ইনটেক লিমিটেড। আগামী পাঁচ বছরের জন্য অর্থাৎ মার্চ ২০২৩ থেকে ২০২৮ সালের ফেব্রয়ারি পর্যন্ত বিশ্বাস এগ্রো ফিশারিজকে এই জমি ইজারা দেয়া হচ্ছে বলে কোম্পানিটি জানিয়েছে।
৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭৫ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৬৭ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪৩ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৭০ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১২ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২১ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ২১ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে ৬৪ হাজার ৮০৪টি শেয়ার মোট ১২৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৪ লাখ টাকা।
দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৩ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৬ টাকা থেকে ৩৪ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ১২০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৩২ লাখ ১০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির ৩ কোটি ১৩ লাখ ২১ হাজার ২২৬টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ২৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য সাত শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৫৯ দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন এবং বাজারদরের ভিত্তিতে মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৪৫ দশমিক ৩৩।
