ক্রীড়া ডেস্ক: বল হাতে ভালো কিছুর আভাস বৃহস্পতিবার দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। ওইদিন অবশ্য ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় এ তারকা পাননি কোনো সাফল্য। তবে পাল্লেকেলে টেস্টের দ্বিতীয় দিনের সকাল থেকে তিনি দাপট দেখান। উইকেটের দেখাও পান। শুক্রবার প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের ফিরিয়ে একাধিকবার তিনি সতীর্থদের সঙ্গে মাতেন বাঁধভাঙা আনন্দে। তবে দিনটি কিন্তু নিজেদের করে নিতে পারেনি বাংলাদেশ।
পাল্লেকেলে টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বৃষ্টি আর স্বল্প আলোর কারণে খেলা শেষ করতে হয়েছে ২৪ ওভার আগে। এদিন ৬ উইকেটে ৪৬৯ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় দিনে ১৭৮ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিক দল। ৬৪ বলে ৭ চারে ৬৪ রানে অপরাজিত আছেন ডিকভেলা। একবার জীবন পাওয়া মেন্ডিস অপরাজিত ২২ রানে। ১১৯ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন। ৮৩ বলে ১ উইকেট তাইজুলের। এক উইকেট করে পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও শরীফুল ইসলাম।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে দারুণ বোলিং করেন তাসকিন আহমেদ। লাইন-লেংথ ধরে রাখেন। ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছিলেন থিরিমান্নে। হঠাৎই একটু মনোযোগ হারান। শরীর তাক করে আসা তাসকিনের বল শাফল করে খেলার চেষ্টায় তার গ্লাভস ছুঁয়ে জমা হয়
কিপার লিটন দাসের গ্লাভসে। ভাঙে ওশাদা ফার্নান্দোর সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১০৪ রানের জুটি। ১৫ রানে ২৮৯ বলে ১৪০ রান করেন থিরিমান্ন। এর দুই বল পরই তাসকিন উইকেট পেতে পারতেন আরেকটি। তার অফ স্টাম্প ঘেঁষা দুর্দান্ত ডেলিভারি ডিফেন্স করার চেষ্টায় পরাস্ত হন ম্যাথিউস। বল যায় লিটনের গ্লাভসে। আবেদন করেননি বোলার, কিপার বা বাংলাদেশের কেউ। কিন্তু আলট্রা এজ-এ মেলে ব্যাটে বলের স্পর্শের প্রমাণ। অবশ্য এর চড়া মূল্য দিতে হয়নি সফরকারীদের। এক ওভার পর তাসকিন ফিরিয়ে দেন ম্যাথিউসকে। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে আসা ক্যাচ ঝাঁপিয়ে গ্লাভসে জমান লিটন। শূন্য রানে ‘বেঁচে যাওয়া’ ম্যাথিউস ফিরেন ৫ রানে।
এদিকে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে টিকতে দেননি তাইজুল ইসলাম। তার বল ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন ধনাঞ্জয়া। ব্যাটের কানায় স্পর্শ করেন লিটনের গ্লাভস ছুঁয়ে বল যায় সিøপে নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে। দুবারের চেষ্টায় বল মুঠোবন্দি করেন তিনি। এরপর অবশ্য ওশাদার সঙ্গে জমে যায় পাথুম নিশানকার জুটি। এক ঘণ্টা পর এ জুটি ভাঙেন তাসকিন। নিসানকাকে বোল্ড করেন তিনি।
পাল্লেকেলে টেস্টে দারুণে বোলিং করছেন মিরাজ। অবশেষে শুক্রবার এ স্পিনার পান সাফল্য। ওশাদাকে লিটনের গ্লাভস বন্দি করে ফেরান তিনি। লঙ্কান ব্যাটসম্যান ফেরার আগে করেন ২২১ বলে ৮১ রান।
লঙ্কান দুই ব্যাটসম্যান নিরোশান ডিকভেলা ৩১ ও রমেশ মেন্ডিস ১২ রান নিয়ে তৃতীয় ও শেষ সেশনের খেলা শুরু করেন। এ সেশনের দ্বিতীয় ওভারে তাইজুলের বলে এলবিডাব্লিউ হন ডিকভেলা। তবে কুমার ধর্মসেনার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বেঁচে যান তিনি। পরে অনবদ্য ব্যাটিংয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৮তম ফিফটি তুলে নেন তিনি। দ্বিতীয় দিনে অবশ্য দলকে আর কোনো বিপদে পড়তে দেননি ডিকওয়েলা। সপ্তম উইকেটে রমেশ মেন্ডিসের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য ৮৭ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তিনি। তবে আলোস্বল্পতার কারণে প্রায় ২৪ ওভারের মতো কম খেলা হয়। দিন শেষে তাই এ জুটিই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ শিবিরে।