শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা গত রোববার অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত তিউনিসিয়াকে অর্থ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। ভূমধ্যসাগর দিয়ে অবৈধভাবে দেশটির নাগরিকরা ইউরোপে প্রবেশ বন্ধ করলে এ সহায়তা করা হবে বলে জানান নেতারা। খবর: ডেইলি সাবাহ।
উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়া বৈদেশিক ঋণে জর্জর। এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে দেশটির কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পাওয়ার চেষ্টা করছে।
দেশটি আফ্রিকার অভিবাসী ও রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হিসেবে স্বীকৃত। বিপজ্জনক হলেও এ রুটটি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে জনপ্রিয়।
তাৎক্ষণিক সহায়তস্বরূপ ইইউ ৯০০ মিলিয়ন ইউরো বা ৯৬৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্যাকেজের অফার করেছে। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডের লিয়েন ইতালি ও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন।
পাশাপাশি তিউনিসিয়ার বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে দেশটির সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও মানবপাচার রোধ করার জন্য আরও ১০০ মিলিয়ন ইউরো দেয়া হবে।
উরসুলা ভন ডের লিয়েন বলেন, আমরা পাচারকারী ও সন্ত্রাসীদের ব্যবসা ভেঙে দিতে চাই। মুনাফার আশায় এই অপরাধ যারা করে আসছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে চাই।
তিনি বলেন, ইইউ’র প্রকল্পগুলো তিউনিসিয়ায় ক্লিন ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে সহায়তা করবে। এছাড়া উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারন্টে সেবা পাবে দেশটি। এতে দেশটিতে অনেক কর্মসংস্থান হবে বলে আশা তার।
তিনি আশা করেন, আসন্ন ইউরোপিয়ান সামিটের পর ইইউ-তিউনিসিয়ার মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এ সামিট আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তিউনিসিয়ার সঙ্গে ইইউ’র দীর্ঘদিনের বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান। দেশটিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারেও কাজ করছে ইইউ। বিশেষ করে ২০১১ সালে আরব বসন্ত শুরু হওয়ার পর দেশটিকে সহায়তা করা হচ্ছে।
