Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 2:25 pm

তিতাস দখল-দূষণে কারা, জানতে চান হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদী দখল-দূষণকারীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আদেশ পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে এ তালিকা দিতে বলা হয়েছে।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ। তিতাসের অবৈধ দখল, দূষণ রোধ ও সিএস-আরএস জরিপের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

নদী দখল করে গড়া স্থাপনা ভাঙতে ও নদীদূষণ ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

চার সপ্তাহের মধ্যে ভূমি সচিব, পরিবেশ সচিব, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়নের বোর্ডের মহাপরিচালক, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি ও পুলিশ সুপারসহ ১১ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে হবে।

গত ৩০ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একিউএম সোহেল রানা।

আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মুহাম্মদ রেজাউল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

আইনজীবী একিউএম সোহেল রানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিতাস নদীর দখল-দূষণ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর-প্রতিবেদন এসেছে। সেসব বিষয় নজরে এনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের আইনি নোটিস পাঠানো হয়। কিন্তু তাদের কাছ থেকে জবাব না পাওয়ায় রিট আবেদন করি। আবেদনে নদী দখল করে গড়ে তোলা স্থাপনা ভাঙার নির্দেশনা চাইলেও আদালত দখল-দূষণকারীদের তালিকা চাওয়ার পাশাপাশি রুল দিয়েছেন।’