তিন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতিবন্ধী না হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে প্রতিবন্ধী হিসেবে উপস্থাপন করে প্রতিবন্ধী সনদ নিয়েছেন। সনদ নিতে নিজের ঠিকানা গোপন করে অন্য ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। সেই সনদে চাকরিও নিয়েছেন। আর আনসার ভিডিপি কোটায় চাকরি নিয়েছেন দুজন। তারা প্রতারণার মাধ্যমে আনসার ভিডিপির সনদপত্র জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করেছেন। এসব দুর্নীতি করেছেন তিন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম মামলা তিনটি দায়ের করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জহিরুল ইসলাম বরিশালের উজিরপুর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। তিনি প্রতিবন্ধী না হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে প্রতিবন্ধী হিসেবে উপস্থাপন করে বরিশালের ঠিকানা গোপন করেন। ময়মনসিংহ থেকে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতিবন্ধী সনদ নেন। প্রতিবন্ধী কোটায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে চাকরি নেন। ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৬ টাকা অবৈধভাবে গ্রহণ করেন। পরে ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট তার প্রতিবন্ধী সনদ বাতিল করে মুক্তাগাছা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কার্যালয়।

আহসান হাবিব পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। তিনি প্রতারণার মাধ্যমে আনসার ভিডিপির সনদপত্র জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করেন। আনসার ভিডিপি কোটায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে চাকরি নেন। ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৬ টাকা অবৈধভাবে গ্রহণ করেন।

বিপাশা খাতুন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। তিনি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে আনসার ভিডিপির সনদপত্র তৈরি করেন। আনসার ভিডিপি কোটায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে চাকরি নেন। ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৬ টাকা অবৈধভাবে গ্রহণ করেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০