Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 2:36 am

তিন কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিরতা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইরানের ওপর নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ আরোপের আশঙ্কার বিষয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের পর বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম অব্যাহতভাবে বাড়ছে। এছাড়া ভেনিজুয়েলার তেলের উৎপাদন কমে যাওয়া ও বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদা বৃদ্ধিও দাম বৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রাখছে। এদিকে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপ করা অবরোধের শর্ত চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ে ভঙ্গ করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর রয়টার্স, আরব নিউজ।
গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রেন্ট তেলের দাম বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৭৪ দশমিক ২৭ ডলারে দাঁড়ায়, যা সর্বশেষ দামের চেয়ে ২৭ সেন্ট বা দশমিক চার শতাংশ বেশি। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) ভবিষ্যত সরবরাহ চুক্তিতে দাম ১৪ সেন্ট বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৬৮ দশমিক ১৯ ডলারে দাঁড়ায়, যা আগের তুলনায় দশমিক দুই শতাংশ বেশি।
জ্বালানি তেলের ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, আগামী মে মাসের মধ্যে ইরানের ওপর আবার মার্কিন অবরোধ আরোপের সম্ভাবনার কারণে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্র সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেছেন, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ইরানের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি হতে পারে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে তা ইতোমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান।
আগামী ১২ মে’র মধ্যে ডেনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের ওপর নতুন করে অবরোধ আরোপ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে দেশটির তেলের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যহারে কমে আসতে পারে। আর এ খবরের মধ্যেই ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলের সর্ববৃহৎ তেল উৎপাদনকারী দেশ ভেনিজুয়েলার তেলের উৎপাদনও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশটির অশোধিত তেলের উৎপাদন প্রতিদিন ২৫ লাখ ব্যারেল থেকে নেমে ১৫ লাখ ব্যারেলে দাঁড়িয়েছে। এসব বিষয়ের সঙ্গে এশিয়ায় জ্বালানি তেলের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে পাওয়ায় দামও বাড়ছে।
এদিকে চীনভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ইরানের ওপর আরোপ করা অবরোধ ভঙ্গ করেছে কি না তা খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। নিউইয়র্কভিত্তিক প্রসিকিউটর বিষয়টির তদন্ত করছে।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ২০১৬ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পণ্য ইরানসহ কয়েকটি দেশে রফতানির বিষয়ে হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের রফতানি ও অবরোধ আরোপ আইনের লঙ্ঘন বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে অন্য একটি অভিযোগে চীনেরই অপর প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জেডটিই’র বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।